নয়াদিল্লি: ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসার হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার সলমন খানকে দোষী সাব্যস্ত করেছে যোধপুরের একটি আদালত। তাঁকে পাঁচ বছরের কারাবাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।


যদিও, আগে একটি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এই বলিউড অভিনেতা জানিয়েছিলেন, আদতে ঝোপের মধ্যে আটকে পড়া একটি কৃষ্ণসারকে উদ্ধার করেছিলেন। যা থেকে গোটা বিতর্কের সূত্রপাত।


একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে সলমন খান জানিয়েছিলেন, সেফ আলি খান, নীলম, তব্বু এবং তিনি—এই চারজন দেখেন ঝোপের মধ্যে আটকে পড়েছে একটি কৃষ্ণসার হরিণ। তিনি তাকে উদ্ধার করে জল ও বিস্কুট খেতে দেন বলেও জানান তিনি।


সলমন বলেন, একদিন শ্যুটিং প্যাক-আপের পর আমরা গাড়ি করে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। দেখি, একটি হরিণ-শাবক ঝোপের মধ্যে ফেঁসে রয়েছে। গোটা দল সেখানে ছিল। ও (শাবক) ভীত ছিল। আমি ওকে সেখানে থেকে উদ্ধার করে জল খাওয়াই। পরে বিস্কুটও দিই। খেয়ে সে চলে যায়। বলিউডের ‘ভাইজানের’ দাবি, এই ব্যবহারই গোটা মামলার নেপথ্য কারণ।


প্রসঙ্গত, সলমন এবং আরও চার অভিনেতা-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ১৯৯৮ সালে যোধপুরের কঙ্কনি গ্রামে হাম সাথ সাথ হ্যায় ছবির শ্যুটিংয়ের ফাঁকে বিপন্ন কৃষ্ণসার হরিণ মেরেছেন। বৃহস্পতিবার, এই মামলার রায় দিতে গিয়ে সলমনকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাবাসের সাজা শোনায় আদালত। বাকিদের বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়।