সন্ত কবীরনগর: সন্ত কবীরের ৫০০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশের সন্ত কবীরনগরের মঘরে তাঁর মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এরপর একটি জনসভায় বিরোধীদের একহাত নিলেন মোদী। তাঁর অভিযোগ, কয়েকটি রাজনৈতিক দল জাতপাতের নামে সমাজে বিভাজন ঘটানোর চেষ্টা করছে। এর আগে মোদী কবীর অকাদেমীর ভিত্তিপ্রস্তরের আবরণও উন্মোচন করেন।
মোদী বলেছেন, কয়েকটি দল শান্তি ও উন্নয়ন নয়, বিবাদ ও অশান্তি বাঁধাতে চায়। কারণ, ওই দলগুলি মনে করে, যত বেশি অসন্তোষ ও অশান্তির বাতাবরণ থাকবে, ততটাই রাজনৈতিক ফায়দা পাওয়া যাবে। উত্তরপ্রদেশে সাম্প্রতিক কয়েকটি উপনির্বাচনে বিরোধী জোটের কাছে ভরাডুবি ঘটেছে বিজেপির। এভাবে বিরোধীদের একজোট হওয়ার ঘটনাকেও নিশানা করেছেন তিনি। কোনও দলের নাম না করেই মোদী বলেছেন, ক্ষমতার লোভে জরুরি অবস্থা যারা জারি করেছিল, তাদের সঙ্গেই হাত মিলিয়েছে তত্কালীন জরুরি অবস্থার বিরোধীরা।ওই দলগুলি সমাজ নয়, শুধুমাত্র নিজেদের ও নিজেদের পরিবারের স্বার্থর কথাই চিন্তা করে।
মোদী বলেছেন, কবীর জাতপাতের বেড়াজাল ভেঙে সমগ্র মানব সমাজকেই এক জাতি ঘোষণা করেছিলেন। আত্ম অহংকারের অবসান ঘটিয়ে মানুষের অন্তরে থাকা ঐশ্বরের সঙ্গে মিলিত হওয়ার পথ দেখিয়েছিলেন কবীর। কয়েকশ বছরের দাসত্বের পরও দেশের আত্মা যে টিকে রয়েছে, তা সম্ভব হয়েছে কবীরের মতো সন্তদের জন্য। সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি সরকারের সাফল্যের খতিয়ানও দিয়েছেন মোদী। তিনি বলেছেন, তাঁদের সরকারের লক্ষ্য হল ভারতের প্রতিটি প্রান্তকে উন্নয়ণের ধারার সঙ্গে সংযুক্ত করা। নাম না করে সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদবকেও নিশানা করেছেন মোদী। অখিলেশের নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন সরকারকে বাংলোর সরকার বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এই বাংলোর সরকার গরিবদের ঘরবাড়ির সমস্যা মেটাতে কোনও কাজই করেনি। বরং বিভিন্ন প্রকল্প বছরের পর বছর আটকে রেখেছে। যোগী আদিত্যনাথ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে দরিদ্র মানুষদের রেকর্ড সংখ্যক বাড়ি দেওয়া হয়েছে।