পুনে: শেষ পর্যন্ত ঘটনার ৬ দিন পর পুণে পুলিশের জালে সন্তোষ কুমার।গোড়া থেকেই অভিযোগ করেছিল অন্তরার পরিবার। সন্দেহ ছিল পুলিশেরও।তাই বুধবার অন্তরার বাবা ও বোনের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সন্তোষকে। পুলশের দাবি, বিভিন্ন প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারায় এবং বয়ানে প্রচুর অসঙ্গতি মেলায় রাতে গ্রেফতার করা হয় ওই সফটঅয়্যার ইঞ্জিনিয়রকে।


পুলিশের অনুমান, পরিকল্পনামাফিক সুপারি কিলার দিয়ে সন্তোষ খুন করিয়েছেন অন্তরা দাসকে। পুণের এএসপি রাজকুমার সিন্ধে এ কথা জানিয়েছেন।

কিন্তু বন্ধুত্বের সম্পর্কে কী এমন ঘটল, যে অন্তরাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষলেন সন্তোষ? পুণে পুলিশের দাবি, জেরার মুখে ধৃত জানিয়েছেন, ঘটনার নেপথ্যে এক তরফা প্রেম। অন্তরা ভাল বন্ধু হিসেবে দেখলেও ফোনের পর ফোনে তাঁকে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন সন্তোষ। চাপ দিতেন সম্পর্ক তৈরির জন্য। কিন্তু সেই চাপের মুখেও বার বার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন অন্তরা। সেই প্রত্যাখ্যানের জেরেই অন্তরাকে সুপারি কিলার দিয়ে খুনের ছক কষেন সন্তোষ।

পুলিশ সূত্রে দাবি, সন্তোষের মবাইল ফোন থেকে বেশ কিছু মেসেজ উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে স্পষ্ট, সম্পর্ক তৈরি করার জন্য লাগাতার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, নভেম্বর মাসে, অন্তরার সঙ্গে শেষ কথা হয়।

অনুমান, তারপরই তৈরি হয় খুনের পরিকল্পনা।

গত ২৩ তারিখ রাতে পুণের ডেহু রোডের ওপর ক্যানবে চকে খুন হন অন্তরা।

সন্তোষের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন, ১২০বি ধারায় অপরাধমলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে।

দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি করেছে অন্তরার পরিবার।

কিন্তু খুনের জন্য কাকে সুপারি দিয়েছিলেন সন্তোষ? আর কারা জড়িত এই ঘটনায়?

এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে সন্তোষের এক বন্ধুকে ডেকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।