এদিন শশীকলার আগেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার পনীরসেলভম। তিনি বলেন, ‘ভাল ঘটনা ঘটবে এবং ধর্মের জয় হবে।’ তবে এর কিছুক্ষণ পরেই রাজ্যপালের হাতে বিধায়কদের স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি তুলে দিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানান শশীকলা। রাজভবনে যাওয়ার আগে তিনি জয়ললিতার স্মৃতিসৌধে গিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। রাজ্যপালের সঙ্গে শশীকলার সাক্ষাৎ ৪০ মিনিট স্থায়ী হয়। কিন্তু তাতেও জট কাটল না।
শশীকলা সরকার গঠনের দাবি জানালেও, পনীরসেলভম দমতে নারাজ। এআইএডিএমকে-র বেশ কয়েকজন নেতা তাঁকে সমর্থন জানাচ্ছেন। ফলে তামিলনাড়ুর ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ লড়াই জটিল আকার ধারণ করেছে। শশীকলা শিবিরের দাবি, বুধবারের বৈঠকে ১৩১ জন বিধায়ক হাজির ছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই শশীকলার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
রাজ্যপাল এতদিন বাইরে থাকায় এবং পনীরসেলভম মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় পরিস্থিতি অন্যরকম ছিল। কিন্তু পনীরসেলভমের বিদ্রোহ এবং রাজ্যপালের ফিরে আসার পর পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। পনীরসেলভম ফের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি জয়ললিতার বাসভবনকে স্মারকসৌধ বানানোর নির্দেশও দিয়েছেন। ফলে পনীরসেলভম-শশীকলা লড়াই তিক্ত আকার ধারণ করেছে। বল এখন রাজ্যপালের কোর্টে। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন।