বেঙ্গালুরু: জেল থেকে বেরিয়ে চুপিসাড়ে স্থানীয় বিধায়কের বাড়ি গিয়েছিলেন শশীকলা? এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে কর্নাটক পুলিশ।


সম্প্রতি, বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ ফাঁস হয়। সেখানে দেখা যায়, রাতে শশীকলা জেলে ঢুকছেন। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, শশীকলা সুতির নাইটি পরে রয়েছেন। আরও দুটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি মেটে রঙের চুড়িদার পরে রয়েছেন। পাশাপাশি, নেত্রীর হাতে শপিং ব্যাগের মত কোনও বস্তু রয়েছে বলেও দেখা যায় ওই ভিডিওতে। ভিডিওগুলি ফাঁস হওয়ার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে বিস্তর জলঘোলা শুরু হয়।


এদিন রাজ্য পুলিশের ডিআইজি ডি রূপা অ্যান্টি কোরাপশন ইউনিট (এসিবি)-কে দেওয়া এক রিপোর্টে দাবি করেছেন, জেলের কাছে হোসুরের বিধায়কের একটি বাড়ি আছে। সেখানেই গিয়েছিলেন শশীকলা। রূপা বলেন, (আমার কাছে) নির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে যে, তিনি মাঝেমধ্যেই সেন্ট্রাল জেলের কাছে হোসুরের বিধায়কের নামে থাকা ওই বাড়িতে যান। ডিআইজি জানান, শশীকলার জন্য জেলে যে বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে, তার প্রমাণ হল এই ভিডিও ফুটেজ, যা তিনি এসিবি-কে দিয়েছেন।


প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুলাই, রূপা প্রথম অভিযোগ করেন, আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে জেলে শশীকলাকে প্রথম শ্রেণির কয়েদির সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য তিনি এক জেল আধিকারিককে ২ কোটি টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করেন। রূপার আরও অভিযোগ, এর নেপথ্যে দায়ী ডিজিপি (কারা) সত্যনারায়ণ রাও। এই অভিযোগের পরই গোটা ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। অভিযোগকে ঘিরে ডিজিপির সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায় রূপার। যার জেরে দুজনকেই বদলি করা হয়।


গত ফেব্রুয়ারি মাসে আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জেল হয় শশীকলার। একইসঙ্গে, জেল হয় তাঁর দুই আত্মীয়র। সকলের চার বছর হাজতবাসের সাজা হয়।