নয়াদিল্লি: রাম রহিমের মামলার রায়কে কেন্দ্র করে পাঁচকুলা ও সিরসায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় প্রশাসনিক গাফিলতি ছিল না বলে দাবি করলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টার। একইসঙ্গে বিরোধীদের তোলা পদত্যাগের দাবিও খারিজ করে দিয়েছেন তিনি।


হরিয়ানা-জুড়ে সাম্প্রতিক হিংসার একটি রিপোর্ট বুধবার বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর কাছে জমা দেন খট্টার। বৈঠক থেকে বেরিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি জানিয়ে দেন, নেতৃত্ব বদলের কোনও প্রশ্নই নেই।


বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়, যে হিংসার ঘটনায় খট্টার-প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শীর্ষস্তরে রদবদল হতে পারে বলেও সম্ভাবনা জোরাল হয়। কিন্তু, এদিন সব জল্পনায় জল ঢেলে খট্টার জানিয়ে দেন, তিনি পদত্যাগ করছেন না।


ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান রাম রহিমের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হরিয়ানা জুড়ে ব্যাপক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় ২৫০ জন। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় একাধিক গাড়িতে। নষ্ট হয় বহু কোটি টাকার সম্পত্তি। এই নিয়ে বিরোধীদের রোষে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী খট্টার।


কিন্তু, বিজেপি দাবি করে, রায় ঘোষণার অনেক আগে থেকেই রাম রহিমের কয়েক লক্ষ অনুগামী জমায়েত হয়েছিল পাঁচকুলা ও সিরসায়। তারাই মূলত এই হিংসা চালিয়েছে। খট্টার প্রশাসনের তরফে আরও জানানো হয়, হিংসার বাঁধিয়ে আদালতে নিজের হাজিরা রুখতে চেয়েছিল রাম রহিম।


এদিন খট্টার বলেন, আমরা অনেক সংযত হয়ে কাজ করেছি। আমরা আমাদের লক্ষ্যে সফল। বিরোধীদের তোলা পদত্যাগের দাবি খারিজ করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, অনেকেই অনেক কিছু বলতে পারে। আমরা আমাদের কাজে সন্তুষ্ট। আমরা সঠিক কাজই করেছি। কোনও রদবদল হবে না।


গতকাল রাম রহিমের পালিতা কন্যা হনিপ্রীত দাবি করেন, হরিয়ানার ভোটে সমর্থনের বিনিময়ে ডেরা প্রধানকে ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। এপ্রসঙ্গে খট্টারের সাফাই, রাজনৈতিক দল সকলের সমর্থন আশা করে। কিন্তু, এক্ষেত্রে এমন কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি যেখানে কেউ আইন ভঙ্গ করলে, তাকে সমর্থন করা হবে। তিনি বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।