মুম্বই:  শুক্রবার বাইকুল্লা জেলের এক আধিকারিকের মারধরের জেরে অসুস্থ হয়ে সাজাপ্রাপ্ত এক মহিলা বন্দির মৃত্যু প্রসঙ্গে এবার আদালতের সামনে মুখ খুললেন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। মুম্বই আদালতকে দেওয়া এক বয়ানে ইন্দ্রাণী জানিয়েছেন, তিনি ওই মৃত বন্দিকে দেখেছিলেন জেল সুপারিন্টেনডেন্টের ঘর থেকে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে টেনে-হিঁচড়ে বের করতে।

প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের বুকে বাইকুল্লা জেলে শুক্রবার দুপুরে পুলিশের মারে অসুস্থ হয়ে পড়ে সাজাপ্রাপ্ত এক মহিলা বন্দির মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, মঞ্জুলা শেট্টে নামের ওই বন্দিকে বেধড়ক মারে জেল আধিকারিকরা। পুলিশে যে এফআইআরটি ইন্দ্রাণী দায়ের করেছেন, সেখানে তিনি বলেছেন, মঞ্জুলার গোপনাঙ্গে লাঠি বা কাঠের স্টিক জাতীয় কিছু ঢুকিয়ে দিয়েছিল জেল আধিকারিকরা। ইন্দ্রাণী আরও বলেন, তিনি এবং জেলের অন্য কয়েদিরা একটি ঘরের দরজার ছিদ্র দিয়ে পুরো ঘটনাটি দেখেন। ওই ঘরেই নিয়ে গিয়ে মঞ্জুলার ওপর চলে অকথ্য অত্যাচার। এমনকি ইন্দ্রাণী যদি আদালতের সামনে মুখ খোলেন, তাহলে তাঁর সঙ্গেও একই জিনিষ ঘটবে বলে হুমকি দিয়েছে জেল আধিকারিকরা, এফআইআর-এ জানিয়েছেন ইন্দ্রাণী।

এদিকে মঞ্জুলার মৃত্যুর প্রতিবাদে শনিবার বাইকুল্লা জেলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ইন্দ্রাণী সহ জেলের অন্য কয়েদিরা। সেদিন প্রায় ২০০ বন্দি মিলে জেলের ছাদে উঠে, কাগজ পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখায়। এরপরই শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় সহ জেলের অন্য বন্দিদের বিরুদ্ধে হাঙ্গামা, অবৈধ জমায়েত, সরকারি কর্মচারীদের মারধর করা সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

এদিকে এই ঘটনায় ইন্দ্রাণীর আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেল এই ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর হাত এবং পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আদালত ইন্দ্রাণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় ইন্দ্রাণীকে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

মঞ্জুলা শেট্টের মৃত্যুতে ছয় জেল আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। একজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।