নয়াদিল্লি: গোরক্ষক বাহিনীগুলিকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে পেশ হওয়া পিটিশনের শুনানিতে কঠোর মনোভাব দেখাল সুপ্রিম কোর্ট।


পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, দেশজুড়ে গোপ্রেমী সংগঠনগুলি গোরক্ষার অজুহাত খাড়া করে সংখ্যালঘু, দলিতদের ওপর সন্ত্রাস, নির্যাতন চালাচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রের সরকার এদের বাড়াবাড়ি রোধে ব্যর্থ। তাই গোরক্ষকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হোক।

এ ব্যাপারে আগে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্যের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত।

সুপ্রিম কোর্ট আজ কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে জানিয়ে দিল, কোনও নজরদারি, খবরদারিই যেন বরদাস্ত করা না হয়। পাশাপাশি গোরক্ষার নাম করে ইদানীং যেসব হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে, সে ব্যাপারে কেন্দ্র, রাজ্যগুলির বক্তব্যও জানতে চেয়েছে তারা।

কেন্দ্রের তরফে অবশ্য শীর্ষ আদালতে বলা হয়, তারা কোনও রাজ্যেই নজরদারি বাহিনীর পাশে নেই, এমন কোনও গোষ্ঠীকে সমর্থন করা হয় না। দেশের আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় এ ধরনের কোনও গোষ্ঠী, বাহিনীর জায়গাও নেই। কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল রঞ্জিত কুুমার বেঞ্চকে বলেন, কোনও রকমের নজরদারিই সমর্থন করে না বলে গতকালই সরকার সংসদে জানিয়েছে।

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রাজ্য়ের ব্য়াপার। এতে তাদের কিছু করার নেই। কিন্তু বিচারপতি এ এম খানবিলকর ও বিচারপতি এম এম স্বান্তনাগাওদারকে নিয়ে গঠিত সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চ বলেছে,আপনারা বলছেন আইনশৃঙ্খলা রাজ্য়ের বিষয় এবং রাজ্যগুলি আইন অনুসারেই ব্যবস্থা নিচ্ছে। কোনও নজরদারিকেই আপনারা সুরক্ষা দেবেন না।

গুজরাত, ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সরকারের তরফে শীর্ষ আদালতকে জানানো হয়, গোরক্ষা সংক্রান্ত হিংসার ঘটনাগুলিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গোরক্ষার নামে দেশের নানা স্থানে হেনস্থা, হয়রানি, গণপিটুনির একাধিক ঘটনায় এমনই প্রতিক্রিয়া হয় যে, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে গত জুনে এর নিন্দা করে বলতে হয়েছে, গোরুকে বাঁচানোর নামে মানুষ হত্যা মেনে নেওয়া যায় না। কারও অধিকার নেই আইন হাতে তুলে নেওয়ার। আমরা অহিংসার দেশে থাকি। সেখানে হিংসায় কোনও কিছুর সমাধান হয় না।

সর্বদল বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমারও বলেন, গোরক্ষার নামে হিংসা ছড়ানো সমাজবিরোধীদের চিহ্নিত করা কঠোর সাজা দিতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।