নয়াদিল্লি: ইসলামে ধর্মান্তরিত কেরলের একটি হিন্দু মেয়ের মুসলিম প্রেমিকের সঙ্গে বিয়েকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। তদন্তের তদারকি করবেন শীর্ষ আদালতঅবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আর ভি রবীন্দ্রন।


তদন্ত শেষ করে এনআইএ-কে তাদের কাছে রিপোর্ট পেশ করতে বলেছে প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের নেতৃত্বাধীন সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চ।

বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ও ওই বেঞ্চের সদস্য। এনআইএ-র তদন্ত রিপোর্ট, কেরল পুলিশের দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখার পাশাপাশি মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেও বিষয়টি সম্পর্কে অবস্থান স্থির করবে বলে জানায় বেঞ্চ।

গত ডিসেম্বরে ধর্ম বদলে মুসলিম হওয়া হিন্দু মেয়েটিকে বিয়ে করেন শাফিন জাহান নামে কেরলের ওই মুসলিম যুবক। অভিযোগ ওঠে, জাহানকে ব্যবহার করে মেয়েটিকে দলে রিক্রুট করেছে সিরিয়ার ইসলামিক স্টেট বাহিনী।

মেয়েটির বাবা অশোকন কেএম-ও অভিযোগ করেন, ধর্ম বদলে, ইসলামি মৌলবাদে দীক্ষিত করার এক সুপরিকল্পিত সিস্টেম চলছে, তাঁর মেয়েও এর শিকার। কেরল হাইকোর্ট জাহান ও ধর্মান্তরিত মেয়েটির বিয়ে অবৈধ রায় দিয়ে বাতিল করে, বলে, এটা লাভ জিহাদের নমুনা, পাশাপাশি তারা এ ধরনের ঘটনাগুলির তদন্ত করতে বলে কেরল পুলিশকেও।

এনআইএ কয়েকটি লাভ জেহাদের ঘটনার তদন্তও করেছে, যেখানে মেয়েদের ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে সিরিয়ায় পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।
বিয়ে বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন জাহান।

তাঁর অভিযোগ, এটা স্বাধীন দেশের মহিলাদের স্বনির্ভরতার অপমান। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেরল সরকার ও এনআইএ-র প্রতিক্রিয়া চায় সুপ্রিম কোর্ট।

শীর্ষ আদালত গত ১০ আগস্ট কেরল পুলিশকে তাদের তদন্তে পাওয়া যাবতীয় তথ্য এনআইএ-র সঙ্গে শেয়ার করতে বলে। তারা জানায়, বিষয়টি সম্পর্কে সামগ্রিক ছবিটা তারা পেতে চায়, তাছাড়া, এ ধরনের ঘটনা কোনও একটি বিশেষ 'ক্ষুদ্র এলাকা'তেই সীমাবদ্ধ নাকি তার 'আরও বড় কোনও দিক' আছে, সেটা জানতেই এনআইএ-র মতো নিরপেক্ষ এজেন্সিকে তদন্তের ভার দেওয়া হচ্ছে।