নয়াদিল্লি: খরা-কবলিত মহারাষ্ট্র থেকে আইপিএল-এর ম্যাচ সরিয়ে বম্বে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট।

বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ মহারাষ্ট্র ও মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার আনা স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করে আইপিএল-এক ম্যাচ মহারাষ্ট্র থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষেই রায় দেয়।

খরা-কবলিত মহারাষ্ট্রে কী করে আইপিএল-এর ম্যাচ সংগঠিত হতে পারে, যেখানে প্রচুর পরিমাণ জলের প্রয়োজন হবে! এই মর্মে বম্বে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেখানে মামলাকারীর তরফে জানানো হয়, ওই ম্যাচ করতে অন্ততপক্ষে ৬০ লক্ষ লিটার জলের প্রয়োজন।

সবদিক খতিয়ে দেখে উচ্চ আদালত তার রায়ে রাজ্য থেকে সব ম্যাচ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার রায় দেয়। আদালত জানিয়েছিল, মহারাষ্ট্রের বর্তমান খরা-পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আগামী ১ মে থেকে আইপিএল-এর সব ম্যাচ রাজ্য থেকে সরিয়ে নিতে হবে।

ম্যাচ বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে পাঁচ কোটি টাকা করে দান করার ঘোষণা করেছিল মু্ম্বই ও পুণে ফ্রাঞ্চাইজি। যদিও, আদালত সেই প্রতিশ্রুতিতে গলে যায়নি। গত ১৩ এপ্রিল হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ২২ তারিখ সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছিল মহারাষ্ট্র ও বম্বে ক্রিকেট সংস্থা।

এদিন সেই মামলার রায় প্রকাশিত হল। আদালত এদিন আবেদনকারী দুই ক্রিকেট সংস্থার থেকে জানতে চায়, এত বিপুল পরিমান জলের ব্যবস্থা তারা কোথা থেকে করবে? ক্রিকেট সংস্থার পক্ষে এদিন শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন দুই কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম ও অভিষেক মণু সিঙ্ঘভি।

তাঁদের দাবি, ৬০ লক্ষ লিটার জলের বিষয়টি অবাস্তব। তাঁরা জানান, ম্যাচ আয়োজন করতে প্রতিদিন ১০ হাজার লিটার করে জলের প্রয়োজন হবে। অর্থাৎ ছ-দিনে ৬ হাজার লিটার জল লাগবে। আবেদনকারীদের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়, কোনওমতেই পানীয় জন ব্যবহার করা হবে না। নিকাশি জলকে পরিশুদ্ধ করে ট্যাঙ্কারে করে আনা হবে।

কিন্তু, বেঞ্চ তাতেও রাজি হয়নি। বিচারপতি ঠাকুর কিছুটা নমনীয়ভাব দেখান। কঠোর নজরদারি ও নিয়ম মেনে আইপিএল ম্যাচ করার অনুমতি দেন। কিন্তু, বেঞ্চের অন্য দুজন সদস্য – বিচারপতি আর বনুমতি এবং বিচারপতি ইউ ইউ ললিত ক্রিকেট সংস্থাগুলির আবেদন খারিজ করে দেন। তাঁদের বক্তব্য, এত নিয়মের জাঁতাকলে ও নজরদারিতে ম্যাচ করার থেকে না করাই শ্রেয়।