নয়াদিল্লি: গত ১৬ বছরে ডিমড ইউনিভার্সিটিগুলো থেকে করেসপন্ডেন্স কোর্সে করা সমস্ত ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স বেআইনি। জানাল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ও ওই সার্টিফিকেটের মাধ্যমে চাকরি পাওয়া হাজারো তরুণ তরুণী চরম বিপাকে পড়লেন।


বিচারপতি এ কে গোয়েল ও ইউ ইউ ললিতের বেঞ্চ বলেছে ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ট কমিশন বা ইউজিসি ও অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন বা এআইসিটিই দূরশিক্ষার মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাকে স্বীকৃতি দেয় না। ডিসট্যান্স এডুকেশন কাউন্সিল বা ডিসিই এই কোর্সগুলিকে যে স্বীকৃতি দিয়েছে তা আইনসিদ্ধ নয়।

শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে বলেছে, ডিমড ইউনিভার্সিটিগুলি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি তত্ত্বাবধান প্রক্রিয়া তৈরি করতে, কারণ ইউজিসি শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ রুখতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে তারা। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই ডিমড ইউনিভার্সিটি তকমা খতিয়ে দেখার জন্যও তারা কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে।

২০০১-এ এআইসিটিই দূরশিক্ষার মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স নাকচ করে দেওয়ার পরেও এভাবেই ডিপ্লোমা দিচ্ছিল জেআরএন রাজস্থান বিদ্যাপীঠ, রাজস্থানেরই ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্সড স্টাডিজ ইন এডুকেশন, এলাহাবাদ এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট ও তামিলনাড়ুর বিনায়ক মিশনস রিসার্চ ফাউন্ডেশন। এদের কোর্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে বেশ কয়েকটি আবেদন জমা পড়ে। সর্বোচ্চ আদালত সমস্ত ডিমড ইউনিভার্সিটিকে এআইসিটিই-র অনুমোদন ছাড়া করেসপন্ডেন্স কোর্ট চালাতে নিষেধ করেছে। যে সব সরকারি আধিকারিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ২০০১ থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কোর্স চালানোর অনুমতি দিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

তবে যে সব পড়ুয়া এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ২০০১-২০০৫-এর মধ্যে অ্যাডমিশন নিয়েছিলেন, তাঁদের জন্য সামান্য স্বস্তির বন্দোবস্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এআইসিটিই-র আওতায় নতুন করে একটি পরীক্ষায় বসে তাতে পাশ করলে ডিপ্লোমা ফেরত পাবেন তাঁরা। পরীক্ষা পাশ করার দুটি সুযোগ তাঁরা পাবেন। কিন্তু আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ২০০৫-এর পর যাঁরা এই কোর্স করেন, তাঁরা এই কোর্সে অনুমোদন নেই তা জেনেই ভর্তি হন। তাই তাঁদের সার্টিফিকেট বাতিল বলেই গণ্য হবে।