সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল সাত দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে চার্জশিট পেশ করতে হবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে। সোমবার শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য আরও ১৫ দিন সময় পাবে সিবিআই। গত ২৮ জুলাই রায়বরেলির কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে উন্নাও নির্যাতিতার গাড়ি। তাতে দু’জনের মৃত্যু হয়। যে ট্রাকটি এসে ধাক্কা মেরেছিল, তার নম্বর কালো কালি দিয়ে ঢাকা ছিল। তারপর থেকেই খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠতে শুরু করে। অভিযোগ ওঠে ধর্ষণে প্রধান অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেনগারই জেলে বসে এই দুর্ঘটনার ছক কষেছেন। ঘাতক ট্রাকের চালক, মালিক ও সাফাইয়ের কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত।
সোমবার বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ জানায়, তদন্ত শেষ করার জন্য আরও দিন ১৫ সময় চেয়েছে সিবিআই। কারণ তদন্তের জন্য নিগৃহীতা ও তাঁর আইনজীবীর বয়ান ভীষণ জরুরি। আর নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। লখনউ থেকে এয়ারলিফট করে তাকে দিল্লির এইমসে নিয়ে আসা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রক্তের সংক্রমণে অবস্থা আরও সঙ্কটজনক নির্যাতিতার। তাঁর আইনজীবীর অবস্থাও গুরুতর। এমন পরিস্থিতিতে দু’জনেরই বয়ান নেওয়া সম্ভব নয়। সে কারণেই বাড়তি সময় চেয়ে নিয়েছে সিবিআই।
ধর্ষণে মূল অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কূলদীপ সেনগার ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, পকসো আইন, অপহরণ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অস্ত্র আইন লঙ্ঘণ-সহ একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে চার্জ গঠন করেছে দিল্লি আদালত। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ধর্ষণ ও ট্রাক চাপা দিয়ে নিগৃহীতাকে সপরিবার হত্যার চেষ্টার পাঁচটি মামলাই উত্তর প্রদেশ থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বিচারক ধর্মেশ শর্মার বেঞ্চ জানিয়েছে, কূলদীপ সেনগারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ৩৬৩, ৩৬৬, ৩৭৬ ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চার্জ গঠন করা হয়েছে আর এক অভিযুক্ত শশী সিংহের বিরুদ্ধেও।