নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ পেলেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী তথা আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে গুজরাতের রাজকোটে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচের পরিপ্রেক্ষিতে ওই এফআইআর নিয়ে পুলিশ ভূষণের বিরুদ্ধে কোনওরকম ব্যবস্থা নিতে পারবে না।
দেশজুড়ে করোনাভাইরাস লকডাউনের মধ্যে রামায়ণ ও মহাভারত সিরিয়ালের পুণঃসম্প্রচারের বিরুদ্ধে ট্যুইটের মাধ্যমে ভূষণ হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন অভিযোগে রাজকোটে ওই এফআইআর দায়ের করেন জয়দেব রজণীকান্ত জোশী নামে এক ব্যক্তি। তিনি পেশায় প্রাক্তন সেনা কর্মী।
ভূষণকে অন্তর্বর্তী স্বস্তি ও সুরক্ষা কবচ দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, টিভি-তে যে কোনও কিছুই দেখতে পারে কেউ। কোনও নির্দিষ্ট অনুষ্ঠান না দেখতে লোকজনকে কীভাবে কেউ বলতে পারে, সেই প্রশ্ন করেছে আদালত।
বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে গুজরাত পুলিশকে নোটিশ জারি করে। ভূষণের আর্জি দুই সপ্তাহ পরে শুনানির জন্য তালিকাভূক্ত করা হয়েছে।
প্রবীন আইনজীবী দুষ্যন্ত দাভে ভূষণের হয়ে সওয়াল করেন। তিনি সমাজকর্মী-আইনজীবীর বিরুদ্ধে দায়ের ওই মামলা খারিজের দাবি করেন। একইসঙ্গে ভূষণের বিরুদ্ধে এই সময়ের মধ্যে যাতে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, সেজন্য রক্ষাকবচেরও আর্জি জানান দাভে।
জোশীর অভিযোগ, গত ২৮ মার্চের ট্যুইটে ভূষণের রামায়ণ ও মহাভারত সম্পর্কে ‘আফিম’ শব্দের ব্যবহারে বহু হিন্দুর ভাবাবেগ আহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভূষণ ট্যুইট করেছিলেন যে, ‘চাপিয়ে দেওয়া লকডাউনের জন্য যখন কোটি কোটি মানুষ ক্ষুদার্ত ও কয়েকশ মাইল হেঁটে ঘরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন, তখন আমাদের হৃদয়হীন মন্ত্রী মানুষকে রামায়ণ ও মহাভারতের আফিম খাইয়ে দেওয়ার উত্সব পালন করছেন’।
দাভে বলেছেন, ভূষণ টিভিতে লোকজনের কী দেখা উচিত, তা নিয়ে তিনি কিছু বলছেন না। তিনি এফআইআর দায়েরের বিরুদ্ধে সওয়াল করছেন।
ভূষণ গত বৃহস্পতিবার তাঁর আর্জি জানান। তা বেঞ্চে একদিন পর নথিভূক্ত হয়েছে বলে রেজিস্ট্রি সূত্রে জানানো হয়েছে।