বেঞ্চ বলেছে, প্রথম অভিযুক্ত অর্থাত সিধু ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। কোনও সাজা হচ্ছে না তাঁর, তবে ১০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে ওনাকে। দ্বিতীয় অভিযুক্ত রুপিন্দর সিংহ সান্ধুকে অব্যাহতি দেওয়া হল।
প্রসঙ্গত, সিধু পঞ্জাবে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহের কংগ্রেস সরকারের পর্যটনমন্ত্রী। এদিনের রায়ের পর মন্ত্রিত্ব হারাতে হচ্ছে না তাঁকে।মঙ্গলবার যেদিন কর্নাটকে ক্ষমতা হারিয়ে ধাক্কা খেল কংগ্রেস, সেদিনই সিধু দোষী ঘোষিত হলেও কোনও শাস্তি না হওয়ায় আরও বিড়ম্বনা এড়াতে পারল তারা।
১৯৮৮-র ২৭ ডিসেম্বর পাতিয়ালার রাস্তায় বাকবিতন্ডার জেরে গুরনাম সিংহ নামে ওই ব্যক্তিকে আঘাত করেছিলেন তিনি। হাসপাতালে রক্তক্ষরণ থেকে মৃত্যু হয় তাঁর।
নিম্ন আদালতে খালাস করে দিয়েছিল সিধুকে। কিন্তু পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট ২০০৬ সালে তাঁকে অনিচ্ছাকৃত হত্যায় দোষী ঘোষণা করে। তিন বছর কারাবাস হয় তাঁর। সেই রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন সিধু। শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের রায় ও সাজা স্থগিত রাখে, তাঁকে জামিন দেয়। এর জোরে অমৃতসর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটে লড়তে পারেন তিনি।