নয়াদিল্লি: রাজেশ ও নূপুর তলোয়ারের নিজেদের মেয়ে আরুষি ও গৃহভৃত্য হেমরাজ খুনের ২০০৮ এর মামলায় রেহাই পাওয়ার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন গৃহীত। ওই দন্ত চিকিৎসক দম্পতিকে জোড়া খুনের মামলায় অব্যাহতি দেওয়ার রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছেন হেমরাজের স্ত্রী খুমকালা বানজাদে। সেটি গ্রহণ করেছে বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের এক বেঞ্চ। তলোয়ার দম্পতিকে নোটিসও জারি করেছে বেঞ্চ।
গত বছরের ১২ অক্টোবর রাজেশ ও নূপুরকে রেহাই দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট। যেসব তথ্যপ্রমাণ পেশ হয়েছে, তার ভিত্তিতে রাজেশ, নুপূরকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না বলে জানায় হাইকোর্ট। তার বিরুদ্ধে গত ডিসেম্বরেই আবেদন করেন বানজাদে। পরে সিবিআই-ও তলোয়ার দম্পতির মামলা থেকে নিষ্কৃতিকে চ্যালেঞ্জ করে।
২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের সিবিআই আদালত দোষী ঘোষিত দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁদের রেহাই দেওয়ার আগে তাঁরা গাজিয়াবাদের দসনা জেলে সাজা খাটছিলেন।
২০০৮ এর মে মাসে ১৪ বছরের আরুষিকে তলোয়ার দম্পতির নয়ডার বাসভবনে নিজের ঘরে গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক ভাবে সন্দেহের আঙুল ওঠে ৪৫ বছরের হেমরাজের দিকে, কারণ সে আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায়। যদিও দুদিন পর তার মৃতদেহও বাড়ির ছাদে পাওয়া যায়। দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ানোর পর জোড়া খুনের রহস্য উন্মোচনে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন রাজ্যের তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী। তদন্তভার পায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। তদন্তে বেরয়, হেমরাজের সঙ্গে আরুষিকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে দুজনকে খুন করেন তলোয়াররাই।