নয়াদিল্লি:  পোকামাকড়ের প্রভাবে মারাত্মক ভাবে ক্ষতি হচ্ছে বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য, দেশে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র তাজমহলের। ঐতিহাসিক এই স্তম্ভের ক্ষতির জন্যে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা এএসআইকে তিরস্কার করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি এম.বি.লোকুর এবং দীপক গুপ্তার দাবি, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ যদি আর একটু তৎপর হত, তাহলে হয়তো তাজমহলের এই ক্ষতি হত না। এরপরই এএসআই কর্তৃপক্ষকে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, তাজমহলের এই ক্ষতি রুখতে তারা কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বা করবে?

এমনকি এএসআইয়ের এই গাফিলতি সামনে আসার পরও কর্তৃপক্ষ যেভাবে নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছে, সেনিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত।

আদালতে সওয়াল-জবাব চলাকালীনই কেন্দ্রের আইনজীবী অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এ.এনএস.নদকর্নি জানান, পরিবেশ ও বন মন্ত্রক আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞকে তাজমহলের দেখভালের সম্পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। এদিকে এএসআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে যমুনার জল থমকে যাওয়ায় এই সমস্যা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এবছর মার্চেই সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপ্রদেশ সরকারকে একটি খসড়া জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেখানে তাদের জানাতে বলা হয়, তাজমহলের রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে তারা কী ভাবছে সেটা জানাতে হবে। শুধু তাজমহল নয়, তাজ ট্র্যাপিজিয়াম জোন, যেটা পুরো ১০, ৪০০ বর্গ ফুট এলাকা জুড়ে রয়েছে, তার রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়েও জানতে চায় আদালত। এই পুরো এলাকার মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের আগ্রা, ফিরোজাবাদ, মথুরা, হাথরাস, এটা এবং রাজস্থানের ভরতপুর। ১৬৩১ খ্রিষ্টাব্দে মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর বেগম মুমতাজের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই স্তম্ভটি স্থাপন করেন। সেই ঐতিহাসিক স্তম্ভের রক্ষণাবেক্ষণের ওপর বিশেষ নজর রয়েছে শীর্ষ আদালতের।