নয়াদিল্লি: ধর্ষণ মামলায় দোষী ঘোষিত ডেরা প্রধান গুরমিত রাম রহিমের সাজা ঘোষণা হতে চলেছে, আর আজই ধর্ষণে অভিযুক্ত আরেক স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুর বিচারে গড়িমসি, বিলম্ব কেন, গুজরাত সরকারের কাছে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট।


গুজরাতের বিজেপি সরকারকে রীতিমতো তিরস্কার করে শীর্ষ আদালত কেন ধর্ষিতার পরীক্ষা আজও হয়নি, জানতে চেয়েছে। বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট পেশ করতে বলেছে শীর্ষ আদালত।

২০১৩-র আগস্ট থেকে রাজস্থানের জেলে রয়েছেন আসারাম। সে বছরের গোড়ায় নিজের আশ্রমে এক ১৬ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে।

তার ২ মাস বাদে আসারাম ও তাঁর ছেলে নারায়ণ সাই গুজরাতের সুরাতে তাঁদের আশ্রমে দু্ই বোনকে ধর্ষণে ফের অভিযুক্ত হন। সেই মামলায় বিচার চলছে গাঁধীনগরের আদালতে।

সুপ্রিম কোর্টে আসারামের জামিনের আর্জির শুনানি চলছে। তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য, যে মেয়েটির ধর্ষণ হয়েছে বলে দাবি, তাকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদই করা হয়নি, অথচ তাঁর মক্কেল চার বছরের বেশি হয়ে গেল জেলে কাটিয়ে ফেললেন! গুজরাত সরকার অবশ্য আসারামই বিচারে দেরি করিয়ে দিচ্ছেন বলে দাবি করে।

গত এপ্রিলেই শীর্ষ আদালত গুজরাতের আদালতকে ধর্ষিতা ও অন্য সাক্ষীদের নথি, তথ্য নথিভুক্ত করায় গতি আনতে বলে। এখনও ৪০-এর বেশি সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা বাকি রয়েছে। বিচারপতিরা বলেছিলেন, বেশি দেরি করবেন না, দ্রুত তথ্য প্রমাণ নথিভুক্ত করুন।

শরীর খারাপ হয়ে পড়া সহ নানা কারণ দেখিয়ে আসারাম বাপু জামিন চেয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য সম্মতি দেয়নি।

এদিকে আসারাম, তাঁর ছেলে জেলে থাকা অবস্থাতেই ধর্ষণ মামলার ৬ সাক্ষীর ওপর হামলা হয়েছে, মারা গিয়েছে দুজন।