নয়াদিল্লি: নিজেকে জয়ললিতার মেয়ে বলে সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেছিলেন বেঙ্গালুরুর এক মহিলা। অম্রুতা নামে ৩৭ বছরের ওই মহিলা পিটিশনে জয়ললিতা তাঁর বায়োলজিকাল মা, প্রমাণ করতে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়ার দাবিও করেন। যদিও শীর্ষ আদালত তাঁর আর্জি বাতিল করে দিয়েছে। বিচারপতি এম বি লোকুর ও বিচারপতি দীপক গুপ্তাকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চে অম্রুতার পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইন্দিরা জয়সিংহ আবেদন জানান, জয়ললিতা ছিলেন আয়েঙ্গার ব্রাহ্মণ, তাই তাঁর দেহ খুঁড়ে বের করে হিন্দু মতে সত্কারের নির্দেশ দিক আদালত। কিন্তু বেঞ্চের বক্তব্য, এ ব্যাপারে হাইকোর্টে যেতে পারেন আবেদনকারী।


বিয়ে-থা করেননি, কিন্তু বিপুল বৈভবের আড়ালে প্রয়াত এআইএডিএমকে সভানেত্রীর ব্যক্তিগত জীবন ছিল বরাবর গোপনীয়তা, রহস্যে ঢাকা। এই প্রথম নিজেকে কেউ তাঁর সন্তান বলে দাবি করল না। কিছুদিন আগে জে কৃষ্ণমূর্তি নামে এক ব্যক্তিও দাবি করেন, তিনি প্রয়াত জয়ললিতা ও তেলুগু অভিনেতা শোভন বাবুর সন্তান।
২২ নভেম্বরের পিটিশনে অম্রুতা জানান, ১৯৮০-র ১৪ আগস্ট মায়লাপুরে জয়ললিতার বাড়িতে তাঁর জন্ম। কিন্তু লোকলজ্জা, নিজের তথা তিনি যে শিক্ষিত, অভিজাত, গোঁড়া ধার্মিক ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে, সমাজের সামনে তার মর্যাদা নষ্ট হতে দিতে চাননি নেত্রী, তাই অম্রুতার জন্মের কথা গোপন রাখা হয়। তাঁকে মানুষ করেন জয়ললিতার প্রয়াত বোন শৈলজা ও তাঁর স্বামী সারথি। সারথিও মারা গিয়েছেন। গত ৫ ডিসেম্বর তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী মারা যাওয়ার পর তিনি এটা জানতে পারেন বলে দাবি অম্রুতার।
তাঁর দুই আত্মীয় এল এস ললিতা ও রজনী রবীন্দ্রনাথও অম্রুতার পিটিশনের শরিক হয়েছেন। তাঁদের দাবি, আবেদনকারী আগেই জানাতে চেয়েছিলেন যে, তিনি জয়ললিতার মেয়ে। কিন্তু তাঁকে বিরত রাখেন জয়ললিতার এককালের ছায়াসঙ্গী, বর্তমানে বেঙ্গালুরুর জেলে বন্দি শশীকলা।
তাহলে কে অম্রূতার বাবা? সূত্রের দাবি, সারথি নাকি মৃত্যুশয্যায় বলে যান, জয়ললিতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল, তিনিই অম্রুতার বায়োলজিকাল বাবা।
তবে এআইএডিএমকে মুখপাত্র সত্যেন রাজনের বক্তব্য, অম্রুতার দাবির ব্যাপারে তাঁদের কিছুই জানা নেই।