নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তি সঞ্জয় লীলা বনশালীর। 'পদ্মাবত' সিনেমার মুক্তির বিরোধিতা করে দায়ের করা রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ সরকারের আর্জি খারিজ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে।
পদ্মাবত সিনেমা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট তার আগের নির্দেশে সংশোধন ঘটাতে অস্বীকার করেছে। উল্লেখ্য, সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার পর মুক্তির দিন ঘোষণা হওয়ার পরই চারটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে 'পদ্মাবত' সিনেমার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল সিনেমার প্রযোজক সংস্থা। এই আর্জির ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জানানো হয়েছিল, সারা দেশেই মুক্তি পাবে 'পদ্মাবত'।
এরপর ওই রায় সংশোধনের আর্জি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্যস্থান ও মধ্যপ্রদেশ সরকার। ওই দুই রাজ্যের আর্জি খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, কয়েকটি সংগঠনের হুমকি ও হিংসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে দুই রাজ্যের পিটিশনে। এ ধরনের পিটিশনের শুনানির প্রয়োজনীয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, একটি সাংবিধানিক সংস্থা সিনেমার মুক্তির ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও আগেই একটি নির্দেশ দিয়েছে। এরপরও এ ধরনের যুক্তি দেখিয়ে সিনেমার মুক্তি রদের আদেবন যুক্তিসঙ্গত নয়। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, বুঝতে হবে যে সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে এবং তা পালন করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, সারা দেশে মুক্তির নির্দেশ পালন করতে হবে।
এদিকে, 'পদ্মাবত'-এর মুক্তি আটকাতে বদ্ধপরিকর শ্রী রাজপুত কার্নি সেনা। সংগঠনের নেতা লোকেন্দ্র সিংহ কালভি বলেছেন, তাঁরা পদ্মাবত সিনেমা হলে প্রদর্শন হতে দেবেন না।
সুপ্রিম কোর্টের রায় যে সিনেমাটির মুক্তির পক্ষেই যাবে, তা সম্ভবত আগেভাগেই অনুমান করেছিলেন কালভি। গতকাল তিনি বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা চালিত নই। সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, আমাদের নয়। আমাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণের পথ খোলা রয়েছে। আমরা সিনেমা প্রদর্শনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবো। পদ্মাবতীর দেখানো হলে সিনেমা হলে ভাঙচুর করব, পর্দা ছিঁড়ে দেব। এ থেকে আমাদের কেউ বিরত করতে পারবে না।
এজন্য আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে তারজন্য বনশালী দায়ী হবেন বলেও মন্তব্য করেছেন কালভি।