নয়াদিল্লি: গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার সংবিধানের আওতায় মৌলিক অধিকার কিনা, সে ব্যাপারে আগামীকাল রায় দিতে পারে সুপ্রিম কোর্টের ৯ বিচারপতির সংবিধান বেঞ্চ। গত ২ আগস্ট রায়দান স্থগিত রেখেছিল বেঞ্চ। গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারকে মৌলিক অধিকার বলে মেনে নেওয়ার পক্ষে ও বিপক্ষে ম্যারাথন শুনানির পর রায়দান করেনি তারা।


কেন্দ্র সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির সুযোগ পেতে গেলে আধারকে বাধ্যতামূলক করায় পাল্টা তাকে চ্যালেঞ্জ করে একগুচ্ছ পিটিশন পেশ হয়। তারই মীমাংসা হচ্ছে ওই বেঞ্চে। ওই পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতেই ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারের প্রসঙ্গটি উঠে এসেছে।

প্রথমে গত ৭ জুলাই তিন বিচারপতির এক বেঞ্চ বলেছিল, আধার ইস্যুর ফলে উঠে আসা যাবতীয় ইস্যুর মীমাংসা করতে হবে কোনও বৃহত্তর বেঞ্চে, এজন্য কোনও সংবিধান বেঞ্চ গঠন করা প্রয়োজন কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান বিচারপতি। তারপর বিষয়টি উল্লেখ করা হয় প্রধান বিচারপতি খেহরের সামনে। তিনি ৫ বিচারপতির বেঞ্চ গড়ে দেন।

তবে ১৮ জুলাই গঠিত পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ গোপনীয়তার অধিকার সংবিধানে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি পেতে পারে কিনা, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ৯ বিচারপতির বেঞ্চ গঠন করে। ১৯৬০ সালে খড়ক সিংহ মামলা ও ১৯৫০ সালে এম পি শর্মা মামলায় যথাক্রমে ৬ ও ৮ বিচারপতির বেঞ্চ রায়ে জানায়, গোপনীয়তার অধিকার মৌলিক অধিকার নয়। সেই রায় যথার্থ ছিল কিনা, সেটা স্থির করতেই ৯ বিচারপতির বেঞ্চ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

২ আগস্ট রায়দান স্থগিত রেখে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জনজীবনে ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ্যে চলে এলে তার অপব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। পাশাপাশি এও বলে, যেভাবে দুনিয়াজুড়ে প্রযুক্তির দাপট, রমরমা বাড়ছে, সেখানে গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারের বিষয়টি ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে।

শুনানির সময় ১৯ জুলাই বেঞ্চ মন্তব্য করে, গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার চূড়ান্ত হতে পারে না, রাষ্ট্রের সেই অধিকারের ওপর কোনও না কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকতেই পারে।