আপাতত কার্যনির্বাহী মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন পনীরসেলভম। কিন্তু, বিধায়কদের সমর্থনের তালিকা জমা দিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদারি পেশ করেছেন শশীকলা। এই প্রেক্ষাপটে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেননি রাজ্যপাল বিদ্যাসাগর রাও। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাঁদের মতে, রায় শশীকলার দিকে গেলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে যাবেন। আর তা না হলে, পনীরসেলভম শিবিরে নাম লেখাতে পারেন আরও একাধিক শীর্ষ ডিএমকে নেতা-নেত্রী।
আগামীকাল সুপ্রিম কোর্ট কর্নাটক সরকারের সহ এই আরও কয়েকটি পক্ষের আর্জির ভিত্তিতে রায় দিতে পারে। উল্লেখ্য, নিম্ন আদালতে এই মামলায় এআইএডিএমকে-র প্রয়াত নেত্রী তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার ও শশীকলা সহ আরও তিনজন অভিযুক্তর হাইকোর্টে অব্যাহতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কর্নাটক। উল্লেখ্য, চার অভিযুক্তই নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। কিন্তু কর্নাটক হাইকোর্টের রায়ে তাঁরা মামলা থেকে অব্যাহতি পান।
শশীকলা ইতিমধ্যেই এআইএডিএমকে-র পরিষদীয় দলের নেত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি বিধানসভা নির্বাচনে আইন অনুযায়ী লড়াই করতে পারবেন না। ফলে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আশায় জল পড়বে।
এই মুহূর্তে পনীরসেলভমের দিকে এআইএডিএমকের ১০ জন সাংসদ রয়েছেন।
এছাড়া পাঁচজন বিধায়ক রয়েছেন তাঁর দিকে।
বিধায়কের নিরিখে এগিয়ে শশীকলা। তাঁর দিকে রয়েছেন ১২৯জন বিধায়ক।
কিন্তু, গত কয়েকদিনে পনীরসেলভমের হাত বেশ শক্ত হয়েছে। অন্যদিকে শশীকলার ভরসা এখন জয়ললিতা-আবেগ, যা বারবার উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মামলার রায় তাঁর পক্ষে না গেলে, পোয়েজ গার্ডেনের রাশ ধরে রাখা যে হাতছাড়া হতে পারে তা ভাল করেই জানেন শশীকলা। তাই মঙ্গলবার তিনি তাকিয়ে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের দিকে। আর আম্মার উত্তরসূরী হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাটা দীর্ঘস্থায়ী হবে কি না, তা বুঝতে পনীরসেলভমের নজরও থাকবে সুপ্রিম কোর্টের দিকেই।