নয়াদিল্লি: যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়ে ‘কঠোর’ শব্দ জোড়া যায় কি না, তা খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট।
দণ্ডবিধিতে কোনও সংস্থান নেই। সেক্ষেত্রে, যাবজ্জীবন কারাবাসে দোষী সাব্যস্তদের সাজা ‘আরও তীব্র’ করতে রায় ঘোষণার সময়ে ‘কঠোর’ শব্দ জোড়ার আইনি এক্তিয়ার দেশের আদালতের রয়েছে কি না, মঙ্গলবার এই প্রশ্ন তোলা হয়।
উত্তরে বিচারপতি পি সি ঘোষ এবং বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের বেঞ্চ জানায়, খুনের ক্ষেত্রে ভারতের দণ্ডবিধি বা অপরাধ-বিধিতে কোথাও বলা নেই যে আদালত তার রায়ে ‘কঠোর’ শব্দ ব্যবহার করতে পারে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালত এই বিষয়ে নোটিশ জারি করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিচারপতিরা জানান, কারাবাসকে ‘কঠোর’ করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য চার সপ্তাহ সময় লাগবে।
প্রসঙ্গত, একটি খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত রামকুমার সিভারের যাবজ্জীবন সাজা দিতে গিয়ে উচ্চ আদালত ‘কঠোর’ শব্দটি ব্যবহার করে। এর প্রেক্ষিতে আসামীর কৌঁসুলি প্রবীণ আইনজীবী পরমানন্দ কাটরা দাবি করেন, ‘কঠোর’ শব্দ ব্যবহার করার কোনও এক্তিয়ার উচ্চ আদালতের নেই। এই শব্দ ব্যবহার করে ‘সংবিধান-বহির্ভুত’ কাজ করেছে আদালত। তিনি যোগ করেন, হাইকোর্টের এই শব্দ-ব্যবহারের ফলে সংবিধানের ২১ ও ১৪ নম্বর ধারা লঙ্ঘিত হয়েছে।