নয়াদিল্লি: সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর পদে গুজরাত ক্যাডারের আইপিএস অফিসার রাকেশ আস্থানার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশন। আবেদনকারী আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ শুক্রবার বা সোমবার শুনানির দিন ধার্য করার আর্জি জানান।
বিচারপতি জে চেলামেশ্বর ও বিচারপতি এস আবদুল নাজিরের বেঞ্চে গত ২ নভেম্বর এনজিও কমন কজ-এর হয়ে তিনি পিটিশনটি দেন। বেঞ্চ ১৩ নভেম্বর শুনানি হবে বলে জানিয়েছে।
আস্থানার নিয়োগ 'অবৈধ', 'একতরফা' আখ্যা দেন ভূষণ। তাঁর পিটিশনে বলা হয়েছে, সিবিআই এমন একটি বিষয়ে তদন্ত করছে যাতে আস্তানার নাম উঠে এসেছে। ভূষণ বলেন, আস্তানার নিয়োগ খারিজ করা হোক, তদন্ত প্রক্রিয়া চলা পর্যন্ত তাঁকে এজেন্সি থেকে সরিয়ে অন্যত্র বদলি করতেও নির্দেশ দেওয়া হোক কেন্দ্রকে।
ভূষণের পিটিশনের বক্তব্য, দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাবলিশ অ্যাক্ট অনুসারে কেন্দ্রকে অবশ্যই সিবিআই স্পেশাল ডিরেক্টর নিয়োগ করতে হবে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনার, বিভিন্ন ভিজিল্যান্স কমিশনার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব, ব্যক্তিগত সচিবকে নিয়ে গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুসারে এবং এ ব্যাপারে আলোচনা করতে হবে সিবিআইয়ের ডিরেক্টরের সঙ্গে। কিন্তু আস্তানাকে ওই পদে বসানোর ক্ষেত্রে সরকার ও সিলেকশন কমিটি সিবিআই ডিরেক্টরের মতামত অগ্রাহ্য করেছে। 'প্রাতিষ্ঠানিক সততা'-র নীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে আস্থানাকে বিশেষ ডিরেক্টর পদে নিয়োগের মাধ্যমে।
পিটিশনে আরও বলা হয়েছে, সিবিআইতে ডিরেক্টরের পর স্পেশাল ডিরেক্টরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অফিসার এবং জাতীয় তদন্ত সংস্থাটির হাতে থাকা প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ মামলার দেখভাল করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত আগস্টে স্টার্লিং বায়োটেক নামে গুজরাতের এক সংস্থায় অভিযান চালিয়ে সিবিআই একটি ডায়েরি পায়। সেই ডায়েরিতে নাম রয়েছে আস্থানার। কমন কজ-এর পিটিশনের দাবি, ডায়েরিতে নাম থাকা থেকে প্রমাণ, ওই কোম্পানি থেকে ঘুষ নিয়েছেন আস্থানা। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে নিয়ে গঠিত ক্যাবিনেট কমিটি তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ তদন্ত সংস্থায় স্পেশাল ডিরেক্টর হিসাবে নিয়োগে ছাড়পত্র দেন।