নয়াদিল্লি: কাঠুয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার ওপর স্থগিতাদেশ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে মামলাটি জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সরিয়ে পঞ্জাবের পঠানকোটে পাঠানোর নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত।


এদিন মামলার শুনানিপর্বের গোটাটাই ক্যামেরাবন্দি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি, দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য মামলাকে ফাস্ট-ট্র্যাক করে এবং প্রতিদিন শুনানি চালানোর নির্দেশও দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।


সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে লাগু রণবীর পিনাল কোড অনুযায়ী হবে মামলাটি। বেঞ্চ জানিয়েছে, ধর্ষিতা কিশোরীর পরিবার, বন্ধু এবং কৌঁসুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে। একইসঙ্গে, মামলার যাবতীয় নথি উর্দু থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী জুলাই মাসে গ্রীষ্মকালীন অবসরের পর যখন ফের আদালত খুলবে, তখন এই মামলার গতিপ্রকৃতির হাল-হকিকৎ শোনা হবে। বেঞ্চের আরও দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি ইন্দু মালহোত্র। বিচারপতিরা জানিয়ে দেন, এদিনের শুনানি ছিল মামলা জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সরবে কি না সেই ইস্যুতে সীমাবদ্ধ ছিল।


গত ১০ জানুয়ারি, জম্মু ও কাশ্মীরের সংখ্যালঘু যাযাবর সম্প্রদায়ের ৮ বছরের এক বালিকা নিখোঁজ হয়। এক সপ্তাহ পর তার ক্ষতবিক্ষত দেহ ওই এলাকা থেকেই মেলে। তদন্তে প্রথম চার্জশিটে সাতজনকে অভিযুক্ত করে রাজ্য পুলিশ।


পরে, দ্বিতীয় চার্জশিটে এক নাবালককে অভিযুক্ত করা হয়। নিহতের বাবা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে জানান, তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং আইনজীবীকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এরপরই কড়া বার্তা দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, নিরপেক্ষ তদন্ত লঙ্ঘিত হলেই মামলা অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হবে।