সঙ্ঘের এই নেতা বলেছেন, সারা দেশ, বিশেষত মহিলাদের কাছে আজকের দিনটি ঐতিহাসিক। তিন তালাকের ওপর রায় ঘোষণা করে ৯ কোটি মুসলিম মহিলার সবচেয়ে বড় সামাজিক সমস্যার সমাধান করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ইসলামের পবিত্র গ্রন্থের ভুল ব্যাখ্যা করে মহিলাদের দমিয়ে রাখছিল কট্টর মৌলবাদীরা, এই নোংরা প্রথার মাধ্যমে তাদের হেনস্থা করছিল। সুপ্রিম কোর্টের আজকের ঘোষণায় তাদের মুখ বন্ধ হয়ে গেল।
ইন্দ্রেশের দাবি, সরকার এই 'ভ্রান্ত' প্রথার শিকার মুসলিম মহিলা ও শিশুদের জন্য বিশেষ কেন্দ্র চালু করুক, যাতে তারা শিক্ষার সুযোগ পায়, আত্মনির্ভরশীল হতে পারে।
তিন তালাক নিয়ে একটি সঠিক আইন তৈরির দাবি করেছেন ইন্দ্রেশ। বলেছেন, আজকের রায়কে সঠিক আইনি চেহারা দিতে হবে। যে মুসলিমরা এর বিরোধিতা করছে, তারা কার্যত শয়তানকে সমর্থন করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্ট এদিন সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে তিন তালাকের মাধ্যমে ডিভোর্স বেআইনি, অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছে। তিন তালাক কোরানের মৌলিক আদর্শের পরিপন্থীও বলেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মত হল, কোরানের শিক্ষার বিপরীত, তিন তালাক সমেত এমন কোনও প্রথাই গ্রহণযোগ্য নয়। তিন বিচারপতির এও মত, তিন তালাকের মাধ্যমে ডিভোর্স একতরফা, সংবিধান লঙ্ঘনকারী, তাই তা বাতিল করতে হবে।