মুম্বই ও হায়দরাবাদ:  ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর এক সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মানুষ পর্যাপ্ত টাকা পাচ্ছেন না। ব্যাঙ্ক ও এটিএমগুলিতে ভিড় আজও অব্যাহত। এটিএমগুলিতে টাকা ফুরিয়ে যাচ্ছে।এই অবস্থায় দৈনন্দিন খরচ চালানোর টাকা সংগ্রহের জন্য ব্যাঙ্কের দরজায় ভোররাত থেকে হত্যে দিতে আসছেন গ্রাহকরা। এরইমধ্যে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার ধকল নিতে না পেরে মৃত্যুরও খবর এসেছে। এদিনও হায়দরাবাদে ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক বৃদ্ধ প্রাণ হারালেন। নিহতের নাম লক্ষ্মণ রাও। অবসরপ্রাপ্ত এই সরকারি কর্মী হায়দরাবাদের মারেদপল্লির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় দেড় লক্ষ টাকা জমা দিতে একাই এসেছিলেন। কিন্তু ব্যাঙ্কে ঢোকার মুখেই পড়ে যান তিনি। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বি সুমথি জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কে কর্তব্যরত পুলিশকর্মী সঙ্গে সঙ্গেই লক্ষ্মণ রাওকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে সুমথি বলেছেন, হৃদরোগ জনিত সমস্যায় লক্ষ্মণ রাওয়ের মৃত্যু হয়েছে। এর আগেও তাঁর হৃদরোগ হয়েছিল। তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়েছিল।

গত কয়েকদিন ধরেই বাতিল টাকা জমা দিতে বা টাকা তুলতে দেশের সর্বত্রই ব্যাঙ্কের সামনে ভিড় জমাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। গতকাল ছিল সরকারি ছুটির দিন। ব্যাঙ্ক ছিল বন্ধ। কিন্তু সরকারি আশ্বাস সত্ত্বেও টাকার অভাবের সমস্যার তো কোনও সুরাহাই হয়নি।  এই অবস্থায় আজও ব্যাঙ্কগুলি উপচে পড়েছে জনস্রোত।