রায়পুর: ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনায় রয়েছে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দাবি, স্বাধীনতার পর সবচেয়ে ‘বড় মিথ্যে’ হল ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি। এই শব্দের ব্যবহারের জন্য যাঁরা মাতামাতি করেন তাঁদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। একটি সংবাদপত্র গোষ্ঠীর আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে যোগী এ কথা বলেছেন।  তাঁর আরও দাবি, ইতিহাসে র বিকৃতি দেশদ্রোহিতারই সামিল।

যোগীর বক্তব্য, ‘আমি মনে করি, স্বাধীনতার পর ভারতের সবচেয়ে বড় মিথ্যে হল ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ...যাঁরা এই শব্দ তৈরি করেছেন এবং যাঁরা এর ব্যবহার করেছেন, তাঁদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। কোনও ব্যবস্থাই ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারে না। রাজনৈতিক ব্যবস্থা কোনও সম্প্রদায়ের প্রতি নিরপেক্ষ হতে পারে, কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ নয়’।

যদিও এই ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনাতেও রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভারত ‘সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’।

কংগ্রেস রসিকতার ছলে এই মন্তব্যের জবাব দিয়েছে। দলের নেতা কপিল সিব্বল যোগীর মন্তব্যকেই বড় মিথ্যে বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর সরস অথচ তীর্যক ট্যুইট, ‘যোগী আদিত্যনাথ বলছেন, ধর্মনিরপেক্ষতা  মিথ্যে এবং মোদী সরকারের সঙ্গে রাম রাজ্যর তুলনা করেছেন।

এটাই সম্ভবত বড় মিথ্যে’।





উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবেশী পাকিস্তানকেও কটাক্ষ করেছেন। তাঁর দাবি, ইউরোপে ‘পাকিস্তান’ ও ‘পাকি’ শব্দ অবমাননাকর হিসেবে বিবেচিত হয়। পাকিস্তান শব্দটি গালাগালির সমার্থক হয়ে উঠেছে।