নয়াদিল্লি: কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদের মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি দিয়ে চিঠি। সম্ভবত রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে অভিযুক্ত কানহাইয়াকে এর আগে ফেসবুকে হুমকি দেওয়া এক ব্যক্তিই এই চিঠির পিছনে রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কানহাইয়া, উমর-দুজনেরই নিরাপত্তা খতিয়ে তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।


 

হুমকি-চিঠিটি সামনে এসেছে একটি দেশী পিস্তল মেলার পর। জানা গিয়েছে, কাশ্মীরী গেট আইএসবিটি ও জওহরলাল নেহরু ক্যাম্পাসের মধ্যে চলা  বাসে একটি মালিকানাহীন ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন তার চালক। তিনি থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগও দায়ের করেন।  ব্যাগের ভিতর থেকে পাওয়া যায় পিস্তল। সঙ্গে হুমকি-চিঠিটি। পুলিশ দাবিদারহীন ব্যাগের মালিককে খুঁজছে। এ ব্যাপারে অনেককে জেরা করা হয়েছে বলে জানিয়েছন এক পদস্থ পুলিশকর্তা।

 

পুলিশ জানিয়েছে, যে লোকটি কানহাইয়াকে ফেসবুকে ভয় দেখিয়েছিল, সে তাঁকে সাবধান করে বলেছিল, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ইতিমধ্যেই সশস্ত্র লোকজন ঘোরাফেরা করছে। তারা যে কোনও সময় কানহাইয়াকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেবে।

 

প্রসঙ্গত, কানহাইয়া ক্যাম্পাসের ভিতরে নিরাপত্তা বলয়ে থাকেন না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যখনই তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে যাবেন, তাঁদের বসন্ত কুঞ্জ থানায় জানাতে হবে। তাঁর নিরাপত্তার বন্দোবস্তও করতে হবে।

 

কিন্তু  কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদাসীন বলে অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ সভাপতি শেহলা রশিদ সোরা বলেছেন, আমি বারংবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে হুমকি-ভয় দেখানোর ব্যাপারে জানিয়েছি। কিন্তু ইতিবাচক সাড়া আসেনি। প্রশাসন ও উপাচার্যের নীরবতায় আমরা হতাশ। উনি কি মোদী সরকারের চাপে খুনের হুমকি দেওয়া লোকজনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন, নাকি প্রশাসন আত্মসন্তুষ্টিতে ভুগছে? আমরা চাই উপাচার্য পুলিশকে সব জানিয়ে এফআইআর দায়ের করুন।