নয়াদিল্লি: ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে’ এবং ‘অবিবেচক’ ভাবে কিছু মানবাধিকার, রাজনৈতিক ও সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা ও সন্ত্রাস দমন আইনের ‘অপব্যবহার’ করা হচ্ছে। রাজ্যসভায় এমনটাই দাবি করলেন সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন রাজ্যসভায় জিরো আওয়ারে ঋতব্রত অভিযোগ করেন, বেআইনি কার্যকলাপ রোধ আইন (ইউএপিএ)-কে ভুলভাবে যত্রতত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন আরোপ করা হচ্ছে। এটা গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল।
তিনি আরও জানান, ইউএপিএ আইনের বহু মামলার ক্ষেত্রে যাবজ্জীবন দেওয়ার সময় আদালত কঠোর শব্দ প্রয়োগ করছে। ঋতব্রতর দাবি, সত্যিকারের সন্ত্রাস হামলামূলক মামলার ক্ষেত্রে এমন শব্দ শোনা যাচ্ছে না।
এপ্রসঙ্গে তিনি মালেগাঁও, আজমেঢ় দরগা, সমঝোতা এক্সপ্রেস, হায়দরাবাদ মক্কা মসজিদের ঘটনা উল্লেখ করেন। বলেন, এসব ক্ষেত্রে অভিনব ভারতের মতো দক্ষিণ-পন্থী সংগঠনগুলি জড়িত। অথচ, এদের মধ্যে কোনও সংগঠনকেই সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করা হয়নি।
সম্প্রতি একটি মামলায় সমস্ত অভিযোগ থেকে অসীমানন্দকে বেকসুর খালাস করে জয়পুরের এনআইএ আদালত। শুধু তাই নয়। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ও আরএসএস অস্ত্র নিয়ে যে মিছিল বের করেছিল, তারও বিরোধিতা করেছেন ঋতব্রত। বলেন, এইসব সংগঠনগুলি প্রকাশ্যেই অস্ত্র নিয়ে মিছিল করছে।