জয়পুর:  ২১ বছরের আইনের ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত রাজস্থানের আলওয়ারের বাসিন্দা স্বঘোষিত গডম্যান স্বামী প্রপান্নাচারী ফলাহারি মহারাজের পৌরুষত্ব প্রমাণের পরীক্ষা হল। শনিবারই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, পৌরুষত্ব পরীক্ষার পর সেটির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে, নমুনাটির ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে।


গত ৭ অগাস্ট এক ২১ বছরের আইনের পড়ুয়াকে নিজের আশ্রমের ঘরে ডেকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে এই স্বঘোষিত গডম্যানের বিরুদ্ধে। মেয়েটি তাঁর দায়ের করা এফআইআরের কপিতে সেই রাতের ঘটনার কথা বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন। মেয়েটির বাবা-মাও এই মহারাজের দীর্ঘদিনের ভক্ত। তাঁরাই মেয়েকে সেদিন আশ্রমে অর্থদান করার জন্যে পাঠিয়েছিলেন। সেদিন গ্রহণ লাগার অজুহাত দিয়ে তরুণীকে আশ্রমে আটকে দেন মহারাজ। তারপর রাতে ঘরে ডেকে বলেন, তাঁকে বিচারক বানিয়ে দেবেন, কিন্তু বদলে তিনি কী দেবেন? এরপর নিজের জিবে মধু দিয়ে ঔঁ এঁকে বলেন, সেটা সেখান থেকে মুখ দিয়ে বের করতে হবে তরুণীকে। তারপর কাছে আসতেই মেয়েটিকে ধরে বিছানায় ফেলে দেন। যৌন হেনস্থার সময় বলেন, তিনি পুরোটাই করছেন ভগবানের নির্দেশে।

এরপর মেয়েটিকে বলেন, তাঁর ভাই নেই। মায়ের বয়স হয়েছে। তিনি মেয়েটিকে পাত্র যোগাড় করে দেবেন, কিন্তু তাঁকে শয্যাসঙ্গী হতে দিতে হবে তার আগে। এমনকি কমবয়সি ছেলেদের সঙ্গে তাঁকে মিশতেও বারণ করেন। কারণ, বেশিরভাগ সময়ই তাঁরা মেয়েদের ব্যবহার করে ফেলে দেন, দাবি মহারাজের। এমন সময় সেই ঘরে বাইরের দরজায় কেউ টোকা দিতেই মেয়েটিকে অন্য ঘরে পাঠিয়ে দেন অভিযুক্ত মহারাজ, সঙ্গে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, এই ঘটনার কথা কাউকে জানালে ফল খারাপ হবে। মেয়েটি সেদিন সারা রাত আশ্রমে কেঁদে পরের দিন বাড়ি ফিরে যান। পরে বাবা-মাকে সব জানালে তাঁরা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশ মহারাজের ঘর থেকে তাঁর ব্যবহৃত ল্যাপটপ, সিডি, অন্য গেজেট এবং সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। সেগুলো সবই ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে।