হিসার: সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে দুটি ফৌজহারি মামলায় স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামপালকে বেকসুর বলে রায় দিল হরিয়ানার হিসারের আদালত।


বারলোকের সতলোক আশ্রমের প্রধান রামপাল ও তাঁর অনুগামীদের মামলা থেকে মুক্তি দিয়েছেন হিসারের বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মুকেশ কুমার।

ডেরা সাচ্চা সৌদা সংক্রান্ত ঘটনায় নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের আর্জি মেনে বিচারক গত ২৪ আগস্ট মামলার রায় ঘোষণা ২৯ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত রেখেছিলেন।

রামপালের কৌসুলি জানিয়েছেন, দুটি মামলাতে বেকসুর খালাস পেয়েছেন রামপাল।

২০১৪-র ১৭ নভেম্বর রামপাল ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডিবিধির ১৮৬ (সরকারি কর্মীকে কর্তব্যপালনে বাধাদান), ৩৩২ (কর্তব্যপালনে সরকারি কর্মীকে বাধা দিতে আহত করা) এবং ৩৫৩ (সরকারি কর্মীকে কর্তব্য পালনে বাধা দিতে নিগ্রহ বা শক্তি প্রয়োগ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল।

এছাড়াও দাঙ্গা, অবৈধ জমায়েত এবং সরকারি কর্মীর ঘোষিত নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগে রামপাল ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ২০১৪-রই ১৮ নভেম্বর আরও একটি মামলা রুজু করা হয়।

২০১৪-তে গ্রেফতার করা হয়েছিল ৬৭ বছরের সন্ত  রামপালকে। তার আগে ৪৩ বার আদালতের সমন উপেক্ষা করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতারের কাজটা আদৌ সহজ ছিল না হরিয়ানা পুলিশের কাছে। দীর্ঘ প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে গুরুর অনুগামী ও পুলিশের মধ্যে তীব্র টানাপড়েন চলেছিল। শেষপর্যন্ত পুলিশ ও রামপালের অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছিল।

দুটি মামলায় বেকসুর হলেও রামপালকে জেলেই থাকতে হবে। কারণ, তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতা সহ আরও কয়েকটি অভিযোগে মামলা চলছে।