নয়াদিল্লি: এয়ার ইন্ডিয়ার এক প্রবীণ কর্মীকে চটি দিয়ে মারার জন্য দেশের বিমান সংস্থাগুলি তাঁকে নিষিদ্ধ করেছে। পুলিশে অভিযোগও দায়ের হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দমতে নারাজ ওসমানাবাদের শিবসেনা সাংসদ রবীন্দ্র গায়কোয়াড়। তিনি আসল পরিচয় গোপন করে এক সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ বার বিমানের টিকিট কাটার চেষ্টা করেছিলেন বলে খবর। প্রতিবারই অবশ্য এই বিতর্কিত সাংসদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। তাঁর পক্ষে আর বিমানে চড়া সম্ভব হয়নি।


এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গায়কোয়াড়ের এক সহকারী কল সেন্টারে ফোন করে তাঁর নামে মুম্বই-দিল্লির উড়ানের টিকিট বুক করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেই বুকিং বাতিল করে দেওয়া হয়। একই দিনে হায়দরাবাদ থেকে দিল্লির উড়ানের টিকিট বুক করা হয় অধ্যাপক ভি রবীন্দ্র গায়কোয়াড়ের নামে। কিন্তু পরে সেই বুকিংও বাতিল করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার নাগপুর থেকে মুম্বই হয়ে দিল্লির উড়ানের টিকিট বুক করার চেষ্টা করা হয় অধ্যাপক রবীন্দ্র গায়কোয়াড়ের নামে। কিন্তু সেই বুকিং নেওয়া হয়নি। এই সাংসদের আরও দুটি উড়ানের টিকিটও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।

একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার এক আধিকারিক বলেছেন, ‘গত বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়ার ৬০ বছর বয়সি এক কর্মীকে চটি দিয়ে মারা এবং বিমান থেকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টার জন্য ক্ষমা চাওয়া কতো দূর, অনুশোচনা করতেও দেখা যায়নি মাননীয় সাংসদকে। ভারতে উড়ানে নিষিদ্ধ ব্যক্তিদের কোনও তালিকা নেই। সেই কারণেই গায়কোয়াড়কে নিষিদ্ধ করতে হয়েছে। না হলে সেই তালিকায় তাঁর নাম থাকত। সরকারের এই তালিকা তৈরি করা উচিত। সেই তালিকায় প্রথম নাম থাকবে গায়কোয়াড়ের।’

শিবসেনার অনুরোধে গায়কোয়াড়ের বিষয়ে অসমারিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী অশোক গজপতি রাজুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়ার পাশাপাশি ইন্ডিগো, জেট, স্পাইসজেট, গো এয়ার ও ভিস্তারা জানিয়েছে, কর্মী ও যাত্রীদের এবং বিমানের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে গায়কোয়াড়কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।