শ্রীনগর: কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের মিছিল করে অনন্তনাগ যাত্রার কর্মসূচি ভেস্তে দিল প্রশাসন। অনন্তনাগ, কুলগাম, পুলওয়ামা, সোপিয়ান, বারমুলা ও শ্রীনগরের ১১টি থানা এলাকায় বহাল থাকা কার্ফু ভেঙে প্রতিবাদ মিছিল করার চেষ্টা করে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠি চালিয়ে, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে সেই প্ল্যান বানচাল করে দেওয়া হয়। গ্রেফতার হন সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, মিরওয়াইজ ওমর ফারুকের মতো শীর্ষ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা। নাতিপোরা, আরওয়ানি, বিজবেহরা, সাফাপোরা, চুন, ওপমোরা এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়। সরকারি সূত্রে কারও জখম হওয়ার খবর নেই।  তবে অসমর্থিত সূত্রের দাবি, অন্তত ডজনখানেক লোক আহত হয়েছে।


 

 

 

গিলানি ও মিরওয়াইজ আজ তাঁদের হায়দরপোরা ও নিগিন এলাকার বাসভবন থেকে আলাদা ভাবে মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দুজনে সাধারণ মানুষকে অনন্তনাগের লালচকে জড়ো হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। সেই উপলক্ষ্যেই মিছিল করে সেখানে যাওয়ার উদ্যোগ নেন তাঁরা।  কিন্তু তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

 

এদিকে মোবাইল ফোন, মোবাইল ইন্টারনেট ও ট্রেন পরিষেবা আজ নিয়ে ১৭ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ৮ জুলাই থেকে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর প্রতিবাদে ডাকা হরতালের জেরে স্কুল, কলেজ ও শিক্ষা  প্রতিষ্ঠানগুলিও বন্ধ রয়েছে।