২৬ বছর আগে কাশ্মীর ছাড়তে বাধ্য হওয়া পন্ডিতদের উপত্যকায় প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে এই প্রথম প্রয়াসী হল বিচ্ছিন্নতাবাদী শিবির। পন্ডিতদের কাশ্মীরী আদর্শ, সংস্কৃতির ‘অবিচ্ছেদ্য অংশ’ বলে উল্লেখ করে মধ্যপন্থী হুরিয়ত কনফারেন্স চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ ওমর ফারুক জানিয়ে দিয়েছেন, ওঁদের ফেরার ব্যাপারে কোনও প্রাক-শর্ত নেই।
মিরওয়াইজ বলেছেন, আমরা বিচ্ছিন্নতাবাদীরা একটি যৌথ কমিটি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হুরিয়তের দুটি গোষ্ঠী, ইয়াসিন মালিকের জেকেএলএফ তাতে থাকবে। কমিটি কাশ্মীরী পন্ডিতদের কাশ্মীরে ফেরানোর প্রয়াসের অঙ্গ হিসাবে রাজ্যে ও অন্যত্র তাঁদের সঙ্গে কথা বলবে। তিনি এও বলেন, এটা স্রেফ কথার কথা নয়। কাশ্মীরী পন্ডিতদের ফেরানোর ব্যাপারে তাঁরা সিরিয়াস হয়ে চেষ্টা চালাবেন।
বর্তমানে প্রায় ৬২ হাজার নথিভুক্ত পন্ডিত পরিবার জম্মু, দিল্লি ও দেশের অন্যান্য অংশে উদ্বাস্তু হিসাবে বসবাস করছে।
হুরিয়ত চেয়ারম্যানের দাবি, কাশ্মীরী পন্ডিতরা উপত্যকায় ফেলে যাওয়া নিজেদের জায়গায় ফিরুন, এটা বরাবরই চায় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তবে তাঁদের বিচ্ছিন্ন ভাবে টাউনশিপ, কলোনি তৈরি করে সেখানে এনে বসানোর বিরোধী তারা। তিনি বলেন, পন্ডিতরা যে রাজনৈতিক আদর্শ, বিশ্বাস ভালবাসেন, তা সমর্থন করতে পারেন। তাঁরা ভারতকে সমর্থন করতে পারেন। কিন্তু তাতে কাশ্মীরী হিসাবে প্রাপ্য অধিকার থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা যায় না।