পুনে: গত সোমবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি হোটেলে হানা দিয়ে মধুচক্রের হদিশ করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় এক মডেলকে। এবার সেই মডেলই পুলিশের বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক ও টাকা চাওয়ার অভিযোগ করেছেন। কিন্তু পুলিশ ওই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। পুলিশ বলেছে, উদ্ধার হওয়ার পর ভেবেচিন্তে ওই অভিযোগ করেছেন মডেল।
ওই মডেল এর আগে এক পাক ক্রিকেটারের সঙ্গে সম্পর্কের দাবি করে আলোড়ন ফেলেছিলেন।
অভিযানে পুলিশ বিপুল দাহাল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ওই মডেলকে উদ্ধার করে পুনের একটি হোমে পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছিল, পরদিনই ওই হোম থেকে পালিয়ে যান তিনি।
ওই মডেল দাবি করেছিলেন যে, তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে পুনে গিয়েছিলেন এবং ওই হোটেলে উঠেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ এসে তাঁর কাছ থেকে টাকা এবং শারীরিক সম্পর্ক করার দাবি করে। তিনি তা অস্বীকার করলে তাঁকে হোমে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ।
মডেলের আরও অভিযোগ, যে হোমে তাঁকে পাঠানো হয়েছিল, সেখানকার কর্মী তাঁর জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। হোমে মোতায়েন এক মহিলা কনস্টেবল তাঁকে গালিগালাজ করেন । তাঁকে হোম ছেড়ে চলে যেতেও বলা হয় বলে অভিযোগ ওই মডেলের।
ওই মডেলের অভিযোগ সম্পর্কে পরে এক প্রেস বিবৃতি জারি করে পুনে পুলিশ। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে ঘটনার পর পরিবারের লোকজন ও বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করে ওই অভিযোগ করেছেন মডেল। আইনি ব্যবস্থা এড়ানোর জন্যই ওই মডেল এইসব অভিযোগ করেছেন বলে পুলিশ দাবি করেছে।
প্রেস বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দাহাল ও ওই মডেলের টেলিফোনে কথোপকথনের রেকর্ডিং পুলিশের কাছে রয়েছে। এই কথোপকথন থেকে এটা স্পষ্ট যে, দেহ ব্যবসার জন্যই তাঁরা ওই হোটেলে ছিলেন।
সোশ্যাল সিকিউরিটি সেলের পুলিশ ইন্সপেক্টর সঞ্জয় পাতিল বলেছেন, হোটেলের ওই রুমে অভিযান চালানোর আগে এক ছদ্ম কাস্টমারকে পাঠানো হয়।
তিনি বলেছেন, অভিযানের সময় পুলিশ কর্মীদের আক্রমণ করার চেষ্টা করেন ওই মডেল। পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করারও চেষ্টা করেন তিনি। এই সমগ্র ঘটনার ভিডিও পুলিশের কাছে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন পাতিল।
হোম থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ওই মডেলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।