গাঁধীনগর: গণতন্ত্র নিয়ে কংগ্রেস ও গাঁধী-নেহরু পরিবারকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। গুজরাতের গাঁধীনগরের কর্ণাবতী বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘যুব সংসদ’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সালের আগে পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলই বেশিরভাগ সময় ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু তারা যেভাবে তারা সরকার পরিচালনা করেছিল, তাতে দেশের বেশিরভাগ নাগরিকই উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তাঁদের মনে হচ্ছিল, স্বাধীনতার ফলে কোনও লাভই হয়নি। স্বাধীনতা আন্দোলনে বহু মানুষ প্রাণ বিসর্জন দেন। কিন্তু স্বাধীনতার কৃতিত্ব একটি দল ও একটি নির্দিষ্ট পরিবারকেই দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। স্বাধীনতার পরেই যে দলটি ক্ষমতায় আসে, তারা দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র তুলে দেয়। দলটি পরিবারতান্ত্রিক হয়ে উঠেছে। যে দলটি অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক কাঠামো রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে, তারা কোনওদিন দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করতে পারবে না। আমরা যদি দেশে গণতন্ত্র রক্ষা করতে চাই, তাহলে রাজনীতিতে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটা অতীতে না হওয়ায় আমাদের দেশ স্বাধীনতার পর থেকে প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি।’

মোদী সরকারের সাফল্য বর্ণনা করতে গিয়ে বিজেপি সভাপতি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরেই মোদীজি ৫০ কোটি মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করেন। এই চার বছরে তিনি ৩০ কোটি মানুষকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থনীতিতে যুক্ত হতে সাহায্য করেছেন। সাড়ে চার কোটিরও বেশি মহিলাকে রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সাড়ে সাত কোটি শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। অতীতে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (ইসরো) একসঙ্গে একটি, দু’টি বা সর্বাধিক ১৩টি কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাত। কিন্তু মোদীজি ক্ষমতায় আসার পর ইসরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পিছনে ফেলে দিয়ে একসঙ্গে ১০৪টি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। অতীতে যে বিজ্ঞানীরা ছিলেন এবং যে পরিকাঠামো ছিল, সেটাই ব্যবহার করেছি আমরা। অতীতে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামে বক্তব্য পেশ করার সুযোগ পাননি। কিন্তু এবার দাভোসে বিভিন্ন দেশের নেতারা হাজির থাকলেও, মোদীজিই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন এবং হিন্দিতে ভাষণ দেন। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা মোদীজিকে পেয়ে আমরা সৌভাগ্যবান। তাঁর নেতৃত্বে নতুন ভারত গড়তে হবে।’