তবে অভিযোগের তির এড়াতে এসব কথা বলেও লাভ হচ্ছে না। কংগ্রেস তো বটেই, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা জোশীর নিজের দলের নেত্রী মানেকা গাঁধী পর্যন্ত তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার তোপ, মোদীজী যেমন গণতন্ত্রকে খুন করেছেন, তেমনই ‘শক্তিমান’-এর ওপর প্রাণঘাতী হামলা করেছেন এক বিজেপি বিধায়ক। এটা দুর্ভাগ্যজনক!
আর মানেকা বলেছেন, পুলিশ অফিসার ‘শক্তিমান’ কর্তব্যরত অবস্থায় ছিল। যে ওকে এত যন্ত্রণা, কষ্ট দিয়েছে, যার জন্য ওকে শেষ পর্যন্ত মরতে হল, তাকেও গ্রেফতার করতে হবে। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, ঘোড়াকে পুলিশ বাহিনীতে আর রাখা উচিত নয়। এতে কোনও কাজ হয় না এবং জনতাকে সামলাতে ওদের নামানো হলে ভয় থাকে, আচমকা হয়তো ভিড়ে মিশে থাকা কোনও দুষ্ট লোক কাপুরুষের মতো আর কিছু করতে না পেরে প্রতিরোধহীন জন্তুটিকে মেরে জখম করে দেবে!
তবে জোশীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের মুখে উত্তরাখণ্ড বিজেপি সভাপতি তথা বিরোধী নেতা অজয় ভট্টের পাল্টা দাবি, 'শক্তিমান'-এর মৃত্যুর দায় রাজ্য সরকারের। ওর সঠিক চিকিত্সার ব্যবস্থা হয়নি।
জোশীর কঠোর সাজা চেয়েছে পেটা সহ বিভিন্ন পশুপ্রেমী সংগঠন। পেটা-র ভারত শাখার মুখ্য কর্মকর্তা পূর্বা জোশীপুরার দাবি, আরও কঠোর আইন চাই যাতে ‘জোশীর মতো’ লোকেরা পশুপ্রাণীদের ওপর নির্যাতন করতে ভয় পায়।