নয়াদিল্লি: সংসদ হামলার মূলচক্রী আফজল গুরুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করার কথা বলে মন্তব্য করে অত্যন্ত নিন্দাজনক ও মুর্খামির পরিচয় দিয়েছেন ‘কিছু মানুষ’। এমনটাই জানালেন উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু।
তিনি জানান, ভারতের একতা ও অখণ্ডতাকে সবার উপরে প্রাধান্য দেওয়া উচিত-- তা সে কাশ্মীর হোক বা কন্যাকুমারী। নাইডু বলেন,যারা আফজল গুরুর কাজকে সমর্থন করছেন, তারা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চায়। ২০০১ সালে সংসদে জঙ্গি হামলা চালানোর জন্য দোষী সাব্যস্ত হয় আফজল গুরু। ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তিহাড় জেলে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
নাইডু বলেন, কিছু মানুষ বলছেন, তারা আফজল গুরুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করবে। এধরনের চিন্তাভাবনা অত্যন্ত নিন্দাজনক ও মুর্খামি। কারণ, আফজল গুরু সংসদকে উড়িয়ে দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার একটা ষড়যন্ত্র করেছিল।
নাইডু জানান, যেদিন সংসদে হামলা হয়েছিল, তিনি তার মধ্যেই ছিলেন। দেশের প্রায় ৯২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কয়েকটি ভুল কারণের জন্য খবরের শিরোনামে চলে এসেছিল। সেই সব জায়গা থেকে আওয়াজ উঠেছিল, আফজল গুরুর অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করা হবে। তিনি বলেন, ভারত আমাদের দেশ। কাশ্মীরে কিছু হলে, আমদের চিন্তিত হই। একইভাবে, কন্যাকুমারীতে কিছু হলেও আমরা চিন্তিত হই। দেশের একতা ও ও অখণ্ডতা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত।
তিনি যোগ করেন, দেশের কিছু জায়গায় খাদ্য নিয়েও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও গো-মাংস উৎসব, কোথাও আবার গো-মাংস বিরোধী উৎসব। আবার কোথাও চুম্বন-উৎসব। কেন এই সব উৎসব করে বৈষম্য ও অসমতা তৈরি করা হচ্ছে, প্রশ্ন নাইডুর।