হরিদ্বার: বিতর্কিত মন্তব্য করা হয়তো পছন্দ করেন শঙ্করাচার্য স্বামী স্বরূপানন্দ সরস্বতী। দিন কয়েকআগেই তিনি বলেন, শনি মন্দিরে মহিলারা প্রবেশ করলে বাড়বে তাঁদের ওপর ধর্ষণের সংখ্যা। এবার তিনি ২০১৩ সালে কেদারনাথে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দুর্যোগের কারণ খুঁজে পেলেন। তাঁর দাবি, কেদারনাথে নবদম্পতিদের মধুচন্দ্রিমা এবং পিকনিক করতে যাওয়ার কারণেই ওই রকম ভয়াবহ মেঘ ভাঙা বৃষ্টির কবলে পড়তে হয় কেদারনাথবাসীকে। যার জেরে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে যান।

কেদারনাথের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মূল কারণ অনুসন্ধানে বিজ্ঞানীরা বিবিধ কারণের কথা বলেছেন বারংবার। অনেকে এই বিপুল প্রাণহানির জন্য দায়ী করেছিলেন পর্যটনের চাপে পাহাড়ের কোলে গজিয়ে ওঠা একের পর এক অবৈধ নির্মাণকে। তবে সে সব কিছুকেই এ বার ছাপিয়ে গেলেন ৯৪ বছরের শঙ্করাচার্যের মন্তব্য। তাঁর দাবি, দেবভূমির মতো এক পবিত্র স্থানে যদি নিয়মিত ভাবে নবদম্পতিরা মধুচন্দ্রিমা করতে যান, বা পিকনিকের নামে ফূর্তি করা হয়, তাহলে প্রকৃতিদেবী রুষ্ট হবেনই। এধরনের অপবিত্র কাজ যদি অবিলম্বে বন্ধ না করা হয়, তাহলে শীঘ্রই এমন দুর্যোগ ফের ফিরে আসবে উত্তরাখণ্ডে।

প্রসঙ্গত, শনি শিঙ্গনাপুরে মহিলাদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরই রবিবার শঙ্করাচার্য বলেন, মেয়েদের শনি মন্দিরে প্রবেশের ফলে বেড়ে যাবে ধর্ষণ। তিনি আরও বলেন এরসঙ্গে নিজেদের দুর্ভাগ্যকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসবেন মহিলারা।

মহারাষ্ট্রে প্রবল জলকষ্ট প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, দিকে দিকে সাঁই বাবার মূর্তি বসছে। গণেশ-হনুমানের মূর্তি ঠাঁই পাচ্ছে সাঁই বাবার পায়ের তলায়। খরা এই অনাসৃষ্টিরই ফসল। তাঁর দাবি এখনই সাঁইবাবার মূর্তি সরিয়ে হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি সেখানে স্থাপন করা হোক।