নয়াদিল্লি: বিহারে কংগ্রেস-আরজেডির সঙ্গে মহাজোট ছেড়ে বেরিয়ে বিজেপির হাত ধরেছে জেডি(ইউ)। বিজেপির সমর্থন নিয়ে নীতীশ কুমার ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন। কিন্তু এই ঘটনায় খুশি নন দলের প্রবীণ নেতা শরদ যাদব। এরইমধ্যে জেডি(ইউ)-র এই প্রবীণ সাংসদ নতুন দল তৈরি করতে পারেন বলে ইঙ্গিত মিলেছে। শরদ ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সমাজবাদী  নেতা বিজয় বার্মার কথা থেকে এই ইঙ্গিত মিলেছে। বিহারে দুই বারের বিধান পরিষদ সদস্য বার্মা জানিয়েছেন, শরদ পুরানো সঙ্গীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। বিভিন্ন বিকল্পের কথা ভাবা হচ্ছে। এরমধ্যেই রয়েছে নয়া দল গঠনের বিকল্পও। গতকাল শরদ দলের কিছু নেতার সঙ্গেও কথা বলেছেন। বৈঠকে দলের কয়েকজন সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, পটনায় আগামী ১৯ আগস্ট জেডি(ইউ)-র ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভের বৈঠকের আগে বা পরে নিজের ভবিষ্যত্ কর্মসূচী সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন শরদ।
বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর সিদ্ধান্তে অসন্তোষ ব্যক্ত করলেও এখনও পর্যন্ত দলের সভাপতি তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেননি শরদ।
এরইমধ্যে ‘সাঝি বিরাসত’ (সাধারণ উত্তরাধিকার) –এর ব্যানারে আগামী ১৭ আগস্ট একটি বৈঠক ডেকেছেন শরদ। বৈঠকে বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে শরদের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর। বৈঠকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও গণতান্ত্রিক অধিকারের মতো ইস্যুগুলি নিয়ে বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র বিরুদ্ধে বিরোধী নেতারা তোপ দাগতে পারেন।
উল্লেখ্য, আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব শরদের কাছে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানের আর্জি জানিয়েছেন।
যদিও শরদের নতুন দল গঠনের সম্ভাবনাকে গুজব বলে খারিজ করে দিয়েছেন জেডি(ইউ)-র প্রধান সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগী।
যদিও বার্মার দাবি, শরদ জোরের সঙ্গেই বলেছেন যে, ধর্মনিরপেক্ষ জোটগুলির সঙ্গেই তিনি থাকবেন। ইতিমধ্যেই তিনি কংগ্রেসের প্রথমসারির নেতা গুলাম নবি আজাদ এবং সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে।
বার্মার দাবি, মোদী সরকারের মন্ত্রী হিসেবে যোগদানের সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছেন শরদ।
জেডি (ইউ)-র দুই সাংসদ আলি আনওয়ার ও বীরেন্দ্র কুমার নীতীশের বিজেপির হাত ধরার সিদ্ধান্তে তাঁদের ক্ষোভের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু ত্যাগী বলেছেন, শরদ দলের সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করলেও এর প্রতিবাদ করছেন বলে কখনই মন্তব্য করেননি।  তিনি আরও বলেছেন, দুর্নীতির ইস্যুতে লালুর সঙ্গ ছেড়েছিলেন শরদ। তাই তিনি এখন কীভাবে লালুর সঙ্গে যেতে পারেন?
সূত্রের খবর, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর বিহারে যেতে পারেন শরদ। সূত্রের খবর, বিজেপির সঙ্গে জোটে ক্ষুব্ধ অনেক জেডি(ইউ) নেতাই শরদের সঙ্গে রয়েছেন।