এদিন সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের পোস্টে শরদ লিখেছেন, বিপুল বাধাবিঘ্ন উপেক্ষা করে রাজ্যসভা আসনের নির্বাচনে জয়ের জন্য আহমেদ পটেলকে অভিনন্দন।
শরদ পটেলের সঙ্গে তাঁর ছবিও পোস্ট করেছেন।
গতকাল রুদ্ধশ্বাস টানাপোড়েনের পর গভীর রাতে গুজরাতে রাজ্যসভার তিনটি আসনের ফলাফল বের হয়। বিজেপির সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে জয়ী হন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়ার রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেল। তাঁর এই জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছিল গুজরাতে একমাত্র জেডি(ইউ) বিধায়ক ছোটুভাই ভাসাভার ভোট।
তাঁর কংগ্রেস প্রার্থীতে ভোটদান ঘিরে গতকাল জেডি(ইউ)-র অন্দরে টানাপোড়েনও কম ছিল না। ভাসাভা জানান, তিনি তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু পটেলকে ভোট দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বিহারে মহাজোট ভেঙে নীতীশের বেরিয়ে আসার প্রতিবাদ হিসেবে তিনি কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন।
কিন্তু নীতীশ-ঘনিষ্ঠ জেডি (ইউ) নেতা কেসি ত্যাগী বলেন, ভাসাভা বিজেপি প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছেন। তাঁকে এই নির্দেশই দলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গুজরাটে দলের প্রধান অরুণ শ্রীবাস্তব বলেন, নির্দেশ দেওয়ার কে ত্যাগী? তিনি জানান, ভাসাভা পটেলকেই ভোট দিয়েছেন। এরপরই শরদ-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত শ্রীবাস্তবকে দল থেকে বহিষ্কার করে জেডি(ইউ)।
গুজরাতের রাজ্যসভার ভোট ঘিরে দলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে শরদের পটেলকে অভিনন্দন জানিয়ে করা ট্যুইট।
শরদ তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছেন, বিজেপির হাত ধরার কৌশল সম্পর্কে নীতীশ তাঁকে সম্পূর্ণ অন্ধকারেই রেখেছিলেন।
রাজনৈতিক মহলের অনুমান, পটেলকে অভিনন্দন জানিয়ে ট্যুইটের মাধ্যমে দলের সভাপতি নীতীশের ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিলেন শরদ। এই অবস্থায় নীতীশ যদি শরদকে দল থেকে বহিষ্কার করেন তাহলে জেডি(ইউ)-র প্রাক্তন সভাপতিকে রাজ্যসভার সাংসদ পদে ইস্তফা দিতে হবে না।