পটনা: ফের দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হার। ২০১৯-এ কংগ্রেস অথবা আরজেডি-র হয়ে ভোটে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ বিজেপি সাংসদের। বিহারে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু-পত্নী রাবড়ি দেবী ও তাঁর ছেলে তেজস্বীর দেওয়া ইফতার পার্টিতে যোগ দেন শত্রুঘ্ন। সেখানেই বিজেপি সাংসদ জানান, আগামী বছর লোকসভা ভোটে পটনা সাহিব কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস অথবা আরজেডি-র হয়ে তিনি দাঁড়াতে চান। এর আগেও একাধিক ইস্যুতে মোদী সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন শত্রুঘ্ন।
গতকাল আরজেডি নেতা আয়োজিত ইফতারে যোগ গিয়ে তাঁর ভবিষ্যত রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে নতুন করে জল্পনা তৈরি করেন শত্রুঘ্ন। যাদবদের ৫ সার্কুলার রোডের বাসভবনে ওই ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে, গতকালই বিহারের শাসক দল জেডি (ইউ)-ও হজ ভবনে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। এই পার্টিতে দেখা যায়নি শত্রুঘ্নকে।
তেজস্বীর ইফতারে যোগ গিয়ে শত্রুঘ্ন বলেন, ইফতার আমাদের মিশ্র সংস্কৃতির অঙ্গ। লালু প্রসাদ আমার বন্ধু। আমার পারিবারিক বন্ধুদের সঙ্গে থাকতে পেরে আমি খুশি।
এরপরই তিনি বলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিনি আরজেডি বা কংগ্রেসের টিকিটে পটনা সাহিব কেন্দ্র থেকে লড়াই করবেন।
যাদবদের বাসভবনে প্রায় দেড় ঘন্টা ছিলেন শত্রুঘ্ন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন না লালু প্রসাদ যাদব। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় সাজা প্রাপ্ত লালু বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
জামিন মঞ্জুর কর ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট লালু প্রসাদের ওপর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা বা কোনও রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। তাই প্রকাশ্য কোনও অনুষ্ঠানে লালু আসছেন না।
গতকাল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীও ইফতার পার্টি দিয়েছিলেন। সেই পার্টিতে উপস্থিত না থাকতে পারার জন্য খেদ প্রকাশ করেছেন তেজস্বী। তিনি বলেছেন, তাঁদের এই পার্টি পূর্বনির্ধারিত ছিল। তাই দিল্লিতে রাহুলের পার্টিতে যোগ দিতে যেতে পারেননি তিনি। তবে বিরোধী ঐক্যের বার্তা দিতে ওই ইফতারে দলের সাংসদ মনোজ ঝাকে পাঠানো হয় বলেও জানান তেজস্বী।