মুম্বই: হাতে বন্দুক দিয়ে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। নিজের প্রাক্তন মালকিনের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন শিনা বোরা হত্যা মামলায় রাজসাক্ষী হওয়া শ্যাম রাই, যিনি এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের প্রাক্তন গাড়িচালক।


বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশের ভিত্তিতে মুখবন্ধ খামে থাকা শ্যাম রাইয়ের জবানবন্দি শুক্রবারই খোলা হয়। গত বছর ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দেওয়া ওই জবানবন্দিতে শ্যাম জানান, ২০১২ সালে নিজের মেয়ে শিনাকে হত্যা করার পর ইন্দ্রাণী তাঁর হাতে একটি পার্সেল ও তিনমাসের বেতন দিয়ে চলে যেতে বলেন। তাঁর দাবি, ওই পার্সেল খুলতেই সেখানে তিনি একটি দেশী বন্দুক পান।

শ্যাম জানিয়েছে, দুবার সে ওই অস্ত্রটিকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু সাহসে কুলোয়নি। তৃতীয়বার করতে গেলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। শ্যাম জানিয়েছে, ২০১৫ সালে সে যখন ওই বন্দুক ফেলতে যান, তিনি দেখেন ওই চত্বরে কয়েকজন পুলিশকর্মী ঘোরাফেরা করছেন। পালাতে গেলে, তাঁরা তাঁকে অস্ত্রসমেত ধরে ফেলেন।

জবানবন্দিতে শিনাকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তার বিবরণও দিয়েছেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শ্যাম। তিনি জানিয়েছেন, শিনাকে গাড়িতে তুলে জোর করে তাঁর মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। শিনার দুহাত দোর করে ধরে থাকেন ইন্দ্রাণীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খন্না, আর ইন্দ্রাণী শিনাকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেন।

সরকারি আইনজীবী জানান, ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল মহারাষ্ট্রের রায়গড়ের জঙ্গলে উদ্ধার হয় শিনা বোরার দেহ। এই হাই-প্রোফাইল হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব খন্না এবং শ্যাম রাই। পরে গ্রেফতার করা হয় ইন্দ্রাণীর বর্তমান স্বামী তথা আইএনএক্স মিডিয়ার কর্ণধার পিটার মুখোপাধ্যায়কে।

বর্তমানে পিটার ও খন্না আর্থার রোডের জেলে রয়েছেন, ইন্দ্রাণী রয়েছেন বাইকুল্লার মহিলা জেলে।