মুম্বই:  ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে শিনা বোরা হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেশজুড়ে বহু তোলপাড় হয়েছে। তদন্তে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সামনে এসেছে ইন্দ্রাণীর একাধিক বিয়ের তথ্য। জানা গিয়েছে মিডায় ব্যারন পিটার মুখোপাধ্যায়ের বহু সম্পর্কের কথা। এরমধ্যেই আদালত ইন্দ্রাণী, পিটার এবং ইন্দ্রাণীর দ্বিতীয় স্বামী সঞ্জীব খন্নার বিরুদ্ধে শিনাকে খুনের দায়ে অভিযুক্ত করেছে। ইন্দ্রাণী তাঁর স্বামী পিটারের থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছেন এবং নিজের সমস্ত সম্পত্তি দান করে দিতে চেয়েছেন।

এরই মাঝে সম্প্রতি এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এই মামলার অন্যতম তদন্তকারী অফিসার রাকেশ মারিয়া দাবি করেন, সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই মামলায় প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। তাঁদের তত্ত্বাবোধানেই খুনের দীর্ঘ তিনবছর পরও হত্যার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসেনি। এই সাক্ষাত্কারের সূত্র টেনে আজ টুইটারে পিটার পুত্র রাহুলের প্রশ্ন, এই মামলার আর কিছু অবশিষ্ট আছে, যা তিনি জানেন না। এছাড়া তিনি স্পষ্টভাবে জানতে চেয়েছেন, এর নেপথ্যে কে আছে? টুইটে রাহুলের সরাসরি প্রশ্ন এই মামলাটি চাপা দেওয়ার জন্যে ইন্দ্রাণী তত্কালীন জয়েন্ট কমিশনার দেবেন ভারতীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন, নাকি সর্ষের মধ্যে আরও ভূত আছে?





ভারতী এবং মারিয়া দুজনেই এই মামলার তদন্ত করেছেন তবে ভিন্ন সময়। ২০১৫ সালে প্রথম খর পুলিশের সৌজন্যে ঘটনাটি সামনে আসে।

পিটার পুত্র রাহুল এবং ইন্দ্রাণীর মেয়ে শিনার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু হঠাত্ করেই ২০১২ সালে হারিয়ে যান শিনা, এবং ইন্দ্রাণী তাঁকে এবং পিটারকে জানান, শিনা মার্কিন মুলুকে রয়েছেন।

তবে এই নিয়ে প্রথমবার শিনা মামলায় টুইটারে মুখ খুললেন না রাহুল। এরআগে, গত ২৮ জানুয়ারি, রাহুল তাঁর বাবা পিটারের হয়ে সওয়াল করে বলেন, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাঁকে কার্যত ফাঁসানো হয়েছে। একপেশে খবর সংবাদমাধ্যমে ছাপা হয়েছে, কোনও পাল্টা যুক্তি ছাড়া। রাহুল দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতিকে সম্মোধন করেও দুটি চিঠি লিখেছেন। তিনি কার্যত এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়ায়ে তাঁদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে।