নয়াদিল্লি: স্ত্রীর সম্পত্তি নয়ছয় ও চুরির মামলায় দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের জামাইয়ের দুদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল্লি আদালত।

ব্যাঙ্গালোরে ধৃত সৈয়দ মহম্মদ ইমরানকে এদিন ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লিতে এনে আদালতে পেশ করে পুলিশ। নগর দায়রা বিচারক ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ আদালতে জানায়, ইমরান যে সব জিনিসপত্র চুরি করেছেন বলে অভিযোগ সেগুলি উদ্ধার করতে হবে। এজন্য অভিযুক্তর দুদিনের হেফাজত চায় পুলিশ। যদিও পুলিশের আর্জির বিরোধিতা করে ইমরানের আইনজীবী। তিনি বলেন, এই মামলায় অভিযুক্তর গ্রেফতারি বাধ্যতামূলক নয়। পুলিশের আগে ইমরানকে হাজিরা দেওয়ার নোটিশ দেওয়া উচিত ছিল। আইনজীবী ইমরানকে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানান।

কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে আদালত।

শীলার মেয়ে লতিকা তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়া স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগও দায়ের করেছেন। ১৯৯৬-এ লতিকা ও ইমরানের বিয়ে হয়। কিন্তু গত ১০ বছর তাঁরা আর একসঙ্গে থাকেন না। গত জুনে ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন শীলার মেয়ে। লতিকার অভিযোগ, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মা হেরে যাওয়ার পর থেকেই তাঁর প্রতি দুর্ব্যবহার শুরু করেন ইমরান। এমনকি, নৈনিতালে তাঁর মালিকানাধীন জমির কাগজপত্র নিয়েও পালিয়ে যান ইমরান।

লতিকার আরও অভিযোগ, মধ্য দিল্লিতে তাঁর বাড়ি থেকে বেশ কিছু জিনিস খোয়া যায়। এ ব্যাপারে ইমরানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জবাব এড়িয়ে যেতেন। লতিকার অভিযোগ, ইমরান তাঁর বাড়ি থেকে গয়নাগাঁটি সহ দামী জিনিসপত্র চুরি করেছেন।