নয়াদিল্লি: শেষ পর্যন্ত ধন্দ কাটিয়ে শিবসেনা জানিয়ে দিল, শুক্রবার কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী শিবিরের অনাস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেবে তারা। আগামীকালের গুরুত্বপূর্ণ ভোটাভুটির একদিন আগে মোদীর পাশে থাকার ভরসা দিল শিবসেনা। বিজেপির কাছে যা নিঃসন্দেহে বড় স্বস্তির খবর। বিজেপি জোটে থেকেও দীর্ঘদিন ধরেই একাধিক ইস্যুতে বড় শরিকের বিরোধিতা করছে উদ্ধব ঠাকরের দল। সে কারণেই কাল তারা কী করবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা ছিল।


সূত্রের খবর, এদিন সকালে তারা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি বয়কট করার ইঙ্গিত দেয়। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত জানান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলীয় সভাপতি উদ্ধব ঠাকরে। তবে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অবস্থান স্পষ্ট করে তারা। দলের একটি সূত্র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানায়, আমরা বিজেপিকে সমর্থন করব। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হবে বিকাল নাগাদ। পরে দলের তরফে নিজেদের এমপিদের কাল সংসদে হাজিরার নির্দেশ দিয়ে হুইপও জারি করা হয়। বর্তমান লোকসভায় শিবসেনার সাংসদ ১৮ জন।

রাউত বলেন, আমরা এখনও আলোচনা করছি। কাল কী হবে, ঠিক করবেন উদ্ধব ঠাকরে। আমাদের পদক্ষেপ নিয়ে যিনিই মন্তব্য করুন, তিনি আমাদের ভালমতো জানেন না। আগামীকাল সুযোগ পেলেই মুখ খুলবেন আমাদের এমপিরা। গণতন্ত্রে যদি একজনও বিরোধী থাকেন, তাহলে তাঁর কথা আগে শুনতে হবে। আমরাও প্রয়োজন হলে মুখ খুলব। ভোটাভুটির সময় উদ্ধব ঠাকরে যেমন বলবেন, তেমনই করব।

৪ বছরে কেন্দ্রের বিজেপি-এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে এটি প্রথম অনাস্থা প্রস্তাব। গতকাল সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই বিজেপির প্রাক্তন শরিক তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) ও অন্যদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন।
এনডিএ সরকার অন্ধ্রপ্রদেশকে ''বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পালন না করা'র বিষয়টি উল্লেখ করে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে অন্যদের সমর্থন চান অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি সভাপতি চন্দ্রবাবু।

এই প্রথম গত ১৫ বছরে কোনও সরকার লোকসভায় অনাস্থার মুখে পড়ছে। বিজেপি আশাবাদী, লোকসভায় ৩১৪ জন সদস্যের সমর্থন পাবে তারা। তবে কংগ্রেসেরও দাবি, তাদের কাছে প্রয়োজনীয় শক্তি আছে।