মহীশূর: নার্সিংহোমের ডাক্তাররা ধরেই নেন, তিনি মারা গিয়েছেন। সেইমতো বাড়ির লোকদের জানিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু সবাইকে হতচকিত করে শেষকৃত্যের জন্য অন্ত্যেষ্ঠিস্থলে নিয়ে যাওয়ার পথে আচমকা বেঁচে উঠলেন ৫৯ বছর বয়সি এক মহিলা। তাঁকে সেখান থেকে পাঠানো হয়েছে বেসরকারি হাসপাতালে।


পদ্মাভাই লোধা নামে ওই মহিলার স্বামী মহেন্দ্র লোধা ব্যবসায়ী। এখানকার অগ্রহারার বাসিন্দা তাঁরা। পদ্মা দেবীর এক পুত্র, দুটি মেয়ে।

পদ্মাদেবীকে ঘিরে এমন ঘটনায় তাঁরা সবাই বিস্মিত, তীব্র আঘাত পেয়েছেন। বলেছেন, কী করে এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করল ওই নার্সিংহোম। আমাদের আবেগ, বিশ্বাস নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে ওরা। একবার ওনাকে পুড়িয়ে ফেলা হয়ে গেলে তো আমাদের আফশোসের শেষ থাকত না। কোনওদিন নিজেদের ক্ষমা করতে পারতাম না।

 

পদ্মাদেবীর ভাইপো মনিশ লোধা জানিয়েছেন, রবিবার ভোরে উনি অসুস্থ বোধ করায় দ্রুত একটি মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়েছে। ওনাকে ভেন্টিলেশনে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা তো রাজস্থানী সংবাদপত্রে তাঁর স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে শোকবিজ্ঞপ্তিও দিয়ে ফেলি। আমরা শেষকৃত্যের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখনই দেখি উনি শ্বাস নিচ্ছেন। হৃদস্পন্দনও টের পাওয়া যাচ্ছে। এখন হাসপাতালে ওনাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। উনি সুস্থ হলেই আমরা ব্যবস্থা নেব হাসপাতালের বিরুদ্ধে।