নয়াদিল্লি: বেশ কিছুদিন ধরেই দল ও সরকারের কাজকর্ম নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে আসছিলেন। আজ সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে আক্রমণ করলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। পটনা সাহিবের বিজেপি সাংসদের তোপ, ‘সরকার হয়ে গিয়েছে ওয়ান ম্যান আর্মি এবং দল টু ম্যান শো। মন্ত্রীরা একদল স্তাবক। তাঁদের ৯০ শতাংশেরই নাম কেউ জানে না। জনতার মাঝে থাকলে তাঁদের চেনা যাবে না। তাঁরা কিছু সৃষ্টি করার বদলে এখানে আসেননি। শুধু টিকে থাকাই তাঁদের লক্ষ্য। যদি একজন আইনজীবী (অরুণ জেটলি) অর্থমন্ত্রী হতে পারেন, টিভি অভিনেত্রী (স্মৃতি ইরানি) মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী হতে পারেন এবং একজন চা বিক্রেতা..., তাহলে আমি কেন জিএসটি, নোট বাতিলের মতো অর্থনৈতিক বিষয়গুলি নিয়ে মতপ্রকাশ করতে পারব না?’

আজ বিদ্রোহী জেডিইউ সাংসদ আলি আনোয়ারের বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে মোদীকে আক্রমণ করেছেন শত্রুঘ্ন। এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ও জেডিইউ-এর অপর এক বিদ্রোহী সাংসদ শরদ যাদব। সেখানে ‘হদয়ের কথা’ বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেতার অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-কে কটাক্ষ করে শত্রুঘ্ন বলেছেন, ‘অন্য একজন মন কি বাতের পেটেন্ট নিয়েছেন। আজ এমনই পরিবেশ হয়ে গিয়েছে, হয় একজন ব্যক্তিকে সমর্থন করতে হবে, না হলেই দেশ-বিরোধী তকমা পাওয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’ উক্তিকে ব্যঙ্গ করে শত্রুঘ্ন বলেছেন, ‘বর্তমান সময়ের আদেশসূচক বাক্য হল, না জিউঙ্গা, না জিনে দুঙ্গা।’

শত্রুঘ্নর দাবি, তিনি কোনওদিন মন্ত্রী হতে চাননি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে মন্ত্রিত্ব না পেয়ে মোদীর বিরোধিতা করার যে অভিযোগ করা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। এই বিক্ষুব্ধ বিজেপি সাংসদের আরও অভিযোগ, এখন বুদ্ধিজীবীদের পাশাপাশি বিচারককেও হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু ধনতন্ত্র (আর্থিক শক্তি) জনতন্ত্রের (মানুষের শক্তি) তুলনায় বেশি হওয়ায় সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনাগুলি বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে না।