বেঙ্গালুরু: কর্ণাটকের সিদ্দারামাইয়া সরকার হিন্দু-বিরোধী বলে অভিযোগ করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। চিত্রদুর্গে নব কর্ণাটক নির্মাণ পরিবর্তন যাত্রায় তিনি বলেছেন, ‘সিদ্দারামাইয়া সরকার ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে। এই সরকার হিন্দু-বিরোধী। ভারত-বিরোধী সংগঠন এসডিপিআই-এর বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কট্টরপন্থী সংগঠন পিএফআই-এর সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাজ্য সরকার। অথচ চার মাস ধরে মন্দিরের পুরোহিতদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না।’


কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিভিন্ন কাজের কথা উল্লেখ করে বিজেপি সভাপতি বলেছেন, ’১৩-তম অর্থ কমিশন কর্ণাটকের জন্য ৮৮,৫৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। মোদী সরকার ১৪-তম অর্থ কমিশনে সেই বরাদ্দ বাড়িয়ে ২,১৯,৫০০ কোটি টাকা করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার কর্ণাটকের ৩.৩৩ লক্ষ গরিব মহিলাকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাসের সংযোগ দিয়েছে।’

বিজেপি বেশ কিছুদিন ধরেই কর্ণাটক সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ করে আসছে। সম্প্রতি কর্ণাটকে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার খাদ্যাভ্যাস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সোমবার তাঁর এই মন্তব্যের পাল্টা সমালোচনা করে সিদ্দারামাইয়া ট্যুইট করেন, ‘আমি গরুদের যত্ন নিই, তাদের খাওয়াই এবং গোবরও পরিষ্কার করি। আমার সমালোচনা করার কোনও নৈতিক অধিকার যোগী আদিত্যনাথের নেই। তিনি কি কখনও গরুদের দেখভাল করেছেন?’

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনেক হিন্দুই গোমাংস খান। আমি চাইলেই বিফ খেতে পারি। কিন্তু পছন্দ করি না বলে গোমাংস খাই না। আদিত্যনাথ এ বিষয়ে প্রশ্ন করার কে?’

এর আগে আদিত্যনাথের কর্ণাটক সফরের সময় তাঁকে কটাক্ষ করে সিদ্দারামাইয়া ট্যুইট করেন, ‘আমি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে আমাদের রাজ্যে স্বাগত জানাচ্ছি। আপনি আমাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারেন। আপনি যখন এখানে এসেছেন, ইন্দিরা ক্যান্টিন ও রেশন দোকান দেখে যান। এর ফলে আপনাদের রাজ্যে অনাহারে মৃত্যু বন্ধ করার ক্ষেত্রে সাহায্য হতে পারে।’

বিজেপি-র এক জনসভায় সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে যুক্ত করার অভিযোগ করেন আদিত্যনাথ। তিনি আরও দাবি করেন, গোমাংস ভক্ষণকারীদের উৎসাহ দিচ্ছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী। এর পাল্টা সিদ্দারামাইয়া বলেছেন, ‘যোগী আদিত্যনাথ আগে উত্তরপ্রদেশে জঙ্গলরাজ খতম করুন এবং হাসপাতালে শিশুমৃত্যু বন্ধ করুন।’