নয়াদিল্লি: ভোটআসন্ন কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে ভিত্তিহীন ও মিথ্যে দাবি করার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সোমবার আইনি নোটিস পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।


সাত-পাতার নোটিসে হুঁশিয়ারি দিয়ে সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, হয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা চান। না হলে, তাঁর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা মূল্যের ফৌজদারি মানহানি মামলা দায়ের করা হবে।


নরেন্দ্র মোদীর পাশাপাশি, একই নোটিসে নাম রয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এবং দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। নোটিসে সিদ্দারামাইয়া দাবি করেছেন, নির্বাচনী প্রচারে এসে একাধিক অবমাননাকর ও অসত্য মন্তব্য করেছেন নরেন্দ্র মোদী।


নোটিসে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিজেপির নবকর্নাটক পরিবর্তন যাত্রার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, প্রচারে মোদী বলেছেন—কর্নাটকে কংগ্রেস সরকার ১০ শতাংশ সরকার। নোটিসে এ-ও দাবি করা হয়েছে, মোদী প্রচারে বলেছেন—এখানে কেলেঙ্কারি ও মাফিয়ার নগ্ন নাচ চলছে।


আরও দাবি করা হয়েছে, কর্নাটকে কংগ্রেস মুখে সহজে ব্যবসা করার কথা বললেও, আদতে সহজে হত্যা করেছে। এখানেই থেমে থাকেননি সিদ্দারামাইয়া। তাঁর আরও দাবি, তাঁকে এক বন্ধুর দেওয়া একটি ঘড়ি উপহারকে ‘ঘুষ’ বলে কটাক্ষ করেছেন মোদী।


নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘড়িটি উপহার হিসেবে প্রাপ্ত হয়েছিল। এর জন্য সিদ্দারামাইয়া নির্দিষ্ট করও দেন। তার প্রমাণ বিধানসভায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে সরকারি সম্পদ হিসেবে দেখিয়ে ঘড়িটি স্পিকারের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। নোটিসে বলা হয়েছে, এত কিছু সত্ত্বেও, সিদ্দারামাইয়ার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে মোদী বিভিন্ন ধরনের ভিত্তিহীন, অসত্য ও মিথ্যে মন্তব্য করেছেন।


এই অভিযোগ তোলার পরই, বিজেপি নেতারা কোন কোন ভারতীয় দণ্ডবিধি লঙ্ঘন করেছেন তা উল্লেখ করা হয়েছে নোটিসে। বলা হয়েছে, আপনারা যৌথভাবে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৯, ৫০০, ৫০১ এবং ৫০২ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। ফলে, আপনাদের বলা হচ্ছে এধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে এবং ছাপা, বৈদ্যুতিন ও সোশ্যাল মিডিয়া মারফৎ জনসমক্ষে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।


নোটিসে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, তেমনটা না হলে, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে দায়রা ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে। একইসঙ্গে, ১০০ কোটি টাকার মানহানি এবং নোটিস বাবদ এক লক্ষ টাকা দাবি করা হবে।


উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ইয়দুরাপ্পাকে ‘জেলের পাখি’ বলায় সিদ্দারামাইয়া সহ একাধিক কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে বিজেপি একইভাবে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। বর্তমানে বিষয়টি কর্নাটক হাইকোর্টে বিবেচনাধীন।